কলকাতায় পুজো কার্নিভাল ঘোষণা করা হয়েছে ১৫ অক্টোবর। গত মাসে নবান্নে ডাকা পুজো বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ১৫ অক্টোবর কলকাতায় পুজো কার্নিভাল হবে। এবার একদিন আগেই ১৪ অক্টোবর শিলিগুড়িতে কার্নিভাল আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিলিগুড়ি পুরনিগম। এবারও শারদ সম্মানের সঙ্গে কার্নিভালে অংশগ্রহণকারীদের পুরস্কৃত করবে পুরনিগম। শীঘ্রই পুজো কার্নিভাল নিয়ে একটি পৃথক বৈঠক করবে কর্তৃপক্ষ।
এবারও শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট সিঙ্গল উইন্ডো অনুমতি প্রদানের ব্যবস্থা করতে চলেছে। এক জায়গা থেকেই সমস্ত অনুমতি মিলবে বলে জানিয়েছেন কর্তারা। পুজো উদ্যোক্তাদের সমস্যা হলে তাঁরা সরাসরি পুরনিগমে যোগাযোগ করতে পারেন কিংবা টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে জানাতে পারেন বলে জানিয়েছেন শিলিগুড়ির মেয়র। এদিনের বৈঠকে ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার সহ পুরনিগমের সমস্ত মেয়র পারিষদ, কাউন্সিলার উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া যোগ দেন জলপাইগুড়ি সদরের মহকুমা শাসক, শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক, এসজেডিএ’র এইও সহ অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিকরা।
মঙ্গলবার দীনবন্ধু মঞ্চে শিলিগুড়ি পুরনিগমের ডাকা পুজো প্রস্তুতি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এবার থেকে প্যান্ডেল তৈরির আগেই পুজো কমিটির কর্তাদের সঙ্গে যৌথভাবে জায়গা পরিদর্শন করবেন পুলিশকর্তারা। কত ফুটের প্রতিমা হবে, প্যান্ডেলের মাপ ইত্যাদি নানা তথ্য জানাতে হবে পুলিশকে। সরকারি নিয়মের বাইরে গিয়ে প্রতিমা কিংবা প্যান্ডেলের উচ্চতা বাড়ানো যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এদিন। মেয়র গৌতম দেব বলেছেন, ‘ডেঙ্গি সচেতনতার বার্তা দেওয়া হবে প্রত্যেক পুজো কমিটিকে। তারা মণ্ডপে আসা দর্শনার্থীদের কাছে পৌঁছে দেবে সেই বার্তা। পাশাপাশি পলিব্যাগ এবং থার্মোকল ব্যবহার না করতে সচেতন করা হবে সবাইকে।’
সাহু নদীর ঘাটে বিসর্জনের (Siliguri Puja Carnival) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকার অভিযোগ বৈঠকে জানান পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা। প্রত্যুত্তরে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে বলে আশ্বাস দেন আধিকারিকরা। শিলিগুড়ি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (জোন-ওয়ান) দীপক সরকার জানিয়েছেন, এবার পুজোয় নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। রাস্তায় থাকবে অ্যান্টি ইভটিজিং টিম। থাকছে সাদা পোশাকের পুলিশও।