Jalpaiguri Storm Killed: চৈত্রের কালবৈশাখীতে (Storm) তছনছ হয়ে গেল জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বিস্তীর্ণ এলাকা। ঝড়ের তাণ্ডবে এখনও পর্যন্ত অন্তত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। জখম প্রচুর। একের পর এক গাছ উপড়ে পড়েছে। মাটিতে মিশে গিয়েছে একের পর এক বাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য বাড়ি। জেলাজুড়ে ঝড়ের তাণ্ডব চললেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে জলপাইগুড়ি শহর ও ময়নাগুড়ির (Maynaguri) বার্নিশ এলাকায় বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
উত্তরবঙ্গে আগামী ২-৩ দিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে, সেই পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। এদিন পাহাড় থেকে সমতল বেশিরভাগ জায়গাতেই সকাল থেকে আকাশ ছিল মেঘলা। উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় এদিন বৃষ্টি হয়। বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ জলপাইগুড়ি জেলার একাধিক জায়গায় ঝড় শুরু হয়। কিছুক্ষণের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বেশ কিছু এলাকা। গাছ চাপা পড়ে মৃত্যু হয় একজনের। জানা গিয়েছে, মৃতের বাড়ি জেলা স্কুল সংলগ্ন এলাকায়।
উত্তরবঙ্গে আগামী দু-তিনদিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় এদিন বৃষ্টি হয়। বিকেল নাগাদ জলপাইগুড়ি জেলার একাধিক জায়গায় ঝড় শুরু হয়। কিছুক্ষণের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় বেশ কিছু এলাকা।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গে দার্জিলিঙের পার্বত্য এলাকায় হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী দু থেকে তিন দিন এই পরিস্থিতি হতে পারে। পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, মূলত বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝড়ো হাওয়া। কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায় বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা। হাওয়া অফিস জানায়, তুলনায় কম বৃষ্টি হবে জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙে। মঙ্গলবার বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি জেলায়। হালকা বৃষ্টি হতে পারে বিক্ষিপ্ত ভাবে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায়।