Baksirhat Shootout Case:'বক্সিরহাট শুট আউট কান্ডে গুলি চালানোর কোনও ঘটনাই ঘটেনি'। সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করলেন কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্রুতিমান ভট্টাচার্য। পাশাপাশি রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলেও জানান তিনি। রাজনৈতিক যোগের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করলেন পুলিশ সুপার, বলেন, 'সমস্তটাই সাজানো ঘটনা'।
প্রসঙ্গত কোচবিহারের তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের মহিষকুচি -২ গ্রাম পঞ্চায়েতের টাকোয়ামারি গ্রামে তৃণমূল ব্লক সভাপতির ছেলে তথা অঞ্চল চেয়ারম্যান নীহার বড়ুয়াকে লক্ষ্য করে গুলি করার অভিযোগ ওঠে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুলির খোল উদ্ধার করে তদন্তে নামে পুলিশ। আর সেই তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, পুরনো শত্রুতা মেটাতেই সাজানো হয়েছে শুট আউট কান্ড। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দুই যুবক সহ দুটি আগ্নেয়াস্ত্র।
রবিবার তুফানগঞ্জ মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করে জেলা পুলিশ সুপার দ্রুতিমান ভট্টাচার্য জানান, "গত ১৩ তারিখ টাকোয়ামারি গ্রাম থেকে আমরা গুলি চলার খবর পাই এবং সেই ঘটনার তদন্তে নেমে আমরা জানতে পারি ওখানে একটি ক্র্যাশার মিল রয়েছে এবং সেটা ২ বছর থেকে বন্ধ। সেখানে একজন নাইট গার্ডের কাজ করেন এবং তিনি ওখানেই থাকেন, গুলিকান্ডে তিনি জানিয়েছিলেন সেখানে নাকি একটি ফায়ার হয়। এবং তারপর তাঁকে জেরা করে আমরা জানতে পারি তাঁর সঙ্গে দুজনের পুরনো শত্রুতা ছিল সেই শত্রুতাকে মেটাতেই এই গুলি চালানোর নাটক সাজানো হয়েছে।
পরবর্তীকালে তার কথামতো যেখানে বন্দুকটি লুকোনো ছিল সেখানে গিয়ে আমরা বন্দুকটি উদ্ধার করি এবং যার কাছ থেকে সে বন্দুকটি নিয়েছিল, তাকেও আমরা গ্রেফতার করি। এবং তার কাছ থেকেও একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। যে নাইটগার্ড ছিল তার নাম প্রদীপ গোপ অপরজন জয়ন্ত ডাকুয়া। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি ওয়ান শটার পিস্তল ও একটি নাইন এমএম পিস্তল। যদিও এ বিষয়ে বিজেপি কোচবিহার জেলা সহ সভাপতি উৎপল দাস দাবি করেন, "এই ঘটনার যে মূল পান্ডা ব্লক সভাপতির ছেলে নীহার বড়ুয়া তাকে গ্রেফতার করা উচিত।" আমরা প্রথমেই বলেছিলাম যে এটা বিজেপি কর্মীদের ফাঁসানোর জন্য গুলির নাটক সাজানো হয়েছে আজ তা প্রমাণ করে দিল পুলিশ।" যদিও তৃণমূল মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, বরাবরই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তদন্ত করে সঠিক ঘটনাকে তুলে ধরেন।"