Dooars Lataguri Accident Tourist Death: ডুয়ার্সে বেড়াতে এসে বিপত্তি। ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে কলকাতার একদল পর্যটক। ঘটনায় মৃত্যু হয় এক মহিলার। আরও ৭ জন জখম রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে তার মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়েছে। আহতদের প্রত্যেককে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম প্রতিমা দে। তিনি উত্তর ২৪ পরগণার মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা।
জঙ্গল সাফারি করে ফেরার পথে চালসা ও লাটাগুড়ির মাঝে জাতীয় সড়কে ছোট গাড়ির সঙ্গে জিপসির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক পর্যটকের। মৃতের নাম প্রতিমা দে (৬৩)। তিনি দক্ষিণ বঙ্গের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে জিপসি গাড়ির চালক সহ জখম হয়েছেন ৭ জন। যাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জিপসিতে থাকা পাঁচজন পর্যটককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জিপসির চালকও গুরুতর আহত হয়েছেন। সব মিলিয়ে সাত জন আহত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রথমে দ্রুত জখমদের নিকটবর্তী ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রতিমাদেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকিদের জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। জখমদের নাম মাধুরী মল্লিক, তাঁর বয়স ৭৩ বছর, বাড়ি মধ্যমগ্রামে। অন্য জনের বাড়ি যাদবপুরে তাঁর বয়স ৭০ বছর নাম সুমিতা দত্ত। আরও একজন ৬৬ বছর বয়সী মীরা মল্লিক, যাঁর বাড়িও মধ্যমগ্রামে বলে জানা যাচ্ছে।
পর্যটকরা ছাড়াও জিপসি ড্রাইভার, বড় গাড়ির দু"জন সওয়ারি সকলকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ক্রান্তি থানার পুলিশ জানিয়েছে, জিপসিতে ড্রাইভার সমেত ৬ জন ছিলেন। এর মধ্যে একজন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। বড় গাড়ির দুজন সহকারী আহত হয়েছেন।
এদিন জিপসিতে করে গরুমারা জঙ্গলের ভিতর যাত্রাপ্রসাদ নজরমিনারে ঘুরতে যায় দক্ষিণবঙ্গ থেকে আসা পর্যটকদের দলটি। সেখান থেকে ফেরার পথে বিকেল সাড়ে ৫ টা নাগাদ চালসা থেকে লাটাগুড়িগামী ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের কলাখাওয়া নজরমিনার সংলগ্ন এলাকায় দ্রুত গতিতে লাটাগুড়ির দিক থেকে আসা একটি ছোট গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় পর্যটকদের জিপসিটির।
গরুমারার জঙ্গলে জিপ সাফারির জন্য এই গাড়ি বুক করা হয়। মূলত লাটাগুড়ি থেকে সেগুলির বুকিং হয়। সেই গাড়িতেই গরুমারা, চাপড়ামারি বা বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া যায়। শুধুমাত্র জঙ্গল সাফারির জন্যই এই গাড়িগুলির বুকিং হয়। জঙ্গলের রেজিস্টার্ড গাড়ি এগুলি। গাড়িগুলির সঙ্গে একজন গাইডও দেওয়া হয়। এরপরই পর্যটক নিয়ে জঙ্গলের ভিতরে ঢোকে গাড়ি।