Advertisement

ঠাকুর দেখে বাড়ি ফিরতে দেরি করায় বকুনি, জলপাইগুড়িতে মাকে কুপিয়ে আত্মঘাতী যুবতী

ঠাকুর দেখে বাড়ি ফিরতে দেরি করায় বকুনি, জলপাইগুড়িতে মাকে কুপিয়ে আত্মঘাতী যুবতী। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে জলপাইগুড়ি শহরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ওল্ড পুলিশ লাইন এলাকায়।

ঠাকুর দেখে বাড়ি ফিরতে দেরি করায় বকুনি, জলপাইগুড়িতে মাকে কুপিয়ে আত্মঘাতী যুবতী
Aajtak Bangla
  • জলপাইগুড়ি,
  • 12 Oct 2024,
  • अपडेटेड 4:57 PM IST

পুজো দেখে বাড়ি ফিরতে রাত হয়ে গিয়েছিল। রাত ১২টা পার করে বাড়িতে ঢুকতেই বকা ঝকা শুরু করেন উদ্বিগ্ন মা। মায়ের প্রশ্নের উত্তরে মেজাজ হারিয়ে ফেলে মেয়ে। দুই এক কথার মাঝেই মায়ের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে মেয়ে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মাঝেই রাগে আগুন হয়ে মাকে সবজি কাটার বটি দিয়ে আঘাত করে মেয়ে। এরপর নিজেই বাথরুমে ঢুকে গায়ে আগুন দিয়ে দেয় সে। মা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে থাকলেও মেয়েকে বাঁচানো যায়নি। দুর্গাপুজোর অষ্টমীর রাতে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়িতে। ঘটনায় হতভম্ব এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে জলপাইগুড়ি শহরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ওল্ড পুলিশ লাইন এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতায় পড়াশোনা করত তুহিনা রায়। বয়স ২১ বছর। পুজোর ছুটিতে বাড়ি এসেছিল সে। সপ্তমীর রাতে বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে যায়। রাত ১২ টা নাগাদ বাড়ি ফেরে সে। গভীর রাতে বাড়ি ফেরা নিয়ে শুরু হয় মায়ের সঙ্গে মেয়ের ঝগড়া। ঝগড়ার মাঝে রান্নাঘরে থাকা ধারালো বটি নিয়ে এসে মাকে আঘাত করে তুহিনা। মুহূর্তের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মেঝেতে লুটিয়ে পরে মা।

তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা নিয়ে যখন ব্যস্ত পরিবারের সদস্যরা৷ ঠিক সেই সময় বাথরুমে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় তুহিনা। স্থানীয় কাউন্সিলার অম্লান মুন্সি সংবাদমাধ্যমকে জানান, পুজোর মধ্যে এমন একটা ঘটনা খুবই দুঃখজনক। অন্যদিকে পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তুহিনার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।

রক্তাক্ত অবস্থায় মা’কে জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন পরিবারের সদস্যরা। এরেই মধ্যে বাড়ির বাথরুমে ঢুকে নিজের গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় তুহিনা। তাঁকেও গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement