দৃষ্টিহীনদের স্পর্শ করিয়ে পরিচয় করানো হল হাতির সঙ্গে। আবার তার সঙ্গেই পরিচয় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন গাছের সঙ্গেই। হাত দিলে তারা যাতে বুঝে যায় কোনটা কি গাছ। কোন হাতি কি প্রজাতির। উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সে মাটি মূর্তি নদীর ধারে 60 জন দৃষ্টিহীনদের নিয়ে শুরু হল এমনই এক অভিনব কাজ। জোৎস্না বরুয়া, বীনা রায়, অর্জুন সরকার, সনু ওঁরাও, রাজা খাওয়াস, ওরা ডুয়ার্সের বিভিন্ন চা বাগান, বনবস্তি ও ছোট ছোট শহরের ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন জায়গায় বাস করলেও ওদের একটাই মিল এরা প্রতিবন্দি। এই পৃথিবীর রূপ, রং ,সৌন্দর্য ওরা প্রত্যক্ষ করতে পারেনা। এই পৃথিবীর আলো ওদের কাছে অন্ধকার। চোখে দেখতে না পারলেও হাত দিয়েই প্রকৃতির গাছপালা, লতাপাতা কে চিনছে ওঁরা। পাখির ডাক শুনে চিনছে কোনটা কী পাখি। হাতি সহ অন্য প্রাণীদের পাশাপাশি কাউলা, লাম্পতি, শাল, জঙ্গল জাম, জারুল, চিলোনী ইত্যাদি গাছ ও গাছের পাতাও চিনিয়ে দেওয়া হয় দৃষ্টিহীনদের। মেটেলি ব্লকের মুর্তি নদীর ধারে শুরু হয়েছে 4 দিনের প্রকৃতি পাঠ শিবির। শিবিরের দ্বিতীয় দিনে ওই সকল দৃষ্টিহীনদের পায়ে হেঁটে মুর্তি নদী পেরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় গরুমারা জঙ্গলে। এই উদ্যোগে কার্যত খুশি দৃষ্টিহীনরা।