দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুর বেড়াতে গেলে লাগবে কোভিড টেস্টের রিপোর্ট। নির্দেশিকা জারি প্রশাসনের। করোনা সংক্রমণ রুখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এবার থেকে দিঘা, মন্দারমণি-সহ পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের থাকতে হলে দিতে হবে ডবল ডোজের ভ্যাকসিনেশনের প্রমাণপত্র। অথবা জমা দিতে হবে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট। না হল দিঘায় আসা যাবে না।
এমনটাই নির্দেশিকা জারি করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি মহকুমা প্রশাসন। এই মর্মে আজ থেকে শুরু হল নির্দেশিকার প্রক্রিয়া। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ এবং মহাকুমা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন সকলে মিলে এই অভিযান সোমবার থেকে শুরু করল।
একটি নির্দেশিকার মাধ্যমে সব হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বিধি-নিষেধ। এমন নির্দেশিকা অমান্য করলে কড়া ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। আংশিক লকডাউনে ছাড় দেওয়ার পর থেকে দিঘায় পর্যটকের ঢল নামছে।
এ রাজ্যের বিভিন্ন অংশ তো বটেই, ভিন রাজ্য থেকেও আসতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। বহু পর্যটক প্রশাসনের নির্দেশে কাউকে অমান্য করে মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করছেন না। তাই এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে মহাকুমা প্রশাসন।
তবে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট অথবা ডবল ভ্যাকসিনেশনের নথি থাকলেও মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছেন মহকুমা প্রশাসক আদিত্য মোহন হিরানি।
কথা হচ্ছিল বিভিন্ন হোটেলের মালিকদের সঙ্গে। তাঁরা এ বিষয়গুলি মেনে চলার পক্ষপাতী। প্রশাসন যেমন নির্দেশ দিয়েছে, তা মেনে চলছেন বলে দাবি করেছেন তাঁরা।
ওই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, আরটিপিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া কোনও পর্যটককে হোটেল বা লজে ঢোকার অনুমতি দেওয়া যাবে না। এ সংক্রান্ত সব রেকর্ড এক জায়গায় রাখতে হবে হোটেল মালিকদের।
হোটেলের ভেতরে থাকার সময় পর্যটকদের দায়িত্ব হোটেল মালিকের। তখন তাঁরা যদি কোভিডবিধি না-মানেন, তার দায় হোটেল কর্তৃপক্ষেরও।
কোভিড বিধি মেনে চলার ব্যাপারে হোটেল, লজ চত্বরে পোস্টার লাগাতে হবে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এর জেরে বেজায় ক্ষতি হয়েছে দিঘা, মন্দারমণি-সহ উপকূলবর্তী অন্যান্য শহরগুলির। অনেক হোটেল, দোকানে জল ঢুকে গিয়েছিল। এর সে জন্য সেখানে ক্ষতি হয়েছিল। জিনিস নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।