হাওড়ার উদনারায়ণপুর (Udaynarayanpur) এবং আমতা (Amta)-র বিস্তীর্ণ এলাকা বানভাসি। সেখানকার পরিস্থিতি ড্রোনের মাধ্যমে দেখল প্রশাসন।
গ্রামীণ হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর ও আমতা ব্লকে বানভাসি এলাকায় নামলো দুটি এন ডি আর এফ (NDRF)-র টিম। নতুন করে জলমগ্ন হাওড়ার আমতা ব্লকের বেশ কয়েকটি এলাকা।
শনিবার থেকে হাওড়া গ্রামীণের উদয়নারায়ণপুর (Udaynarayanpur) ও আমতা ব্লকের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করে। ভেঙে যায় বেশ কিছু যদি বাঁধের বড় অংশ। জলের তোড়ে ভেঙে ভেসে যায় নদীর উপরে তৈরি বাঁশের সেতু। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এলাকার বাসিন্দাদেরকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাবস্থা করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। ডিভিসি (DVC)-র ছাড়া জলে নতুন করে প্লাবিত উদয়নারায়ণপুর (Udaynarayanpur) , আমতা (Amta)-র একাধিক এলাকা।
হরিহরপুর,টোকাপুর, শিবানীপুর সহ ৫টি জায়গায় বাঁধ ভেঙে জল ঢুকছে গ্রামে। উদয়নারায়ণপুর (Udaynarayanpur) তারকেশ্বর রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে বইছে জল। হাওড়ার সঙ্গে হুগলি জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত বিচ্ছিন্ন। উদয়নারায়ণপুর (Udaynarayanpur) সরকারি হাসপাতাল, কলেজও জলমগ্ন হয়ে গেছে। পরিস্থিতির অবনতি হওয়াতে আমতা ও উদয়নারায়াণপুরে দুটি এন ডি আর এফের টিম ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের টিমকে নামানো হয়েছে উদ্ধার কাজের জন্য। গোটা পরিস্থিতির ওপরে কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলে হাওড়া জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর।
উদয়নারায়ণপুর (Udaynarayanpur)-এর বিধায়ক সমীর পাঁজা জানান, ছয় হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গে বুধবার রাত থেকে শুরু হয়েছিল বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে। কখনও প্রবল, কখন টিপটিপ করে। আর এ কারণে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় জল জমে যায়।
এর ফলে প্রবল সমস্যা পড়েন মানুষ। গাড়ি চলাচলে নাজেহাল হতে হয় তাদের। যানবাহনের গতিবেগ ধীর গতির হয়ে যায়। জল জমে যাওয়ার ফলে মানুষের মনে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তারা কলকাতা পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
বৃষ্টির জেরে প্রবল সমস্য়া তৈরি হয় দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় জল জমে যায়। আর দুর্ভোগে পড়েন মানুষ। বাড়িতে, রাস্তায় জল জমে যায়।
ফলে নাকাল হতে হয় তাঁদের। অনেক জায়গায় দুর্ঘটনাও ঘটেছে।