লকডাউনের পর বিধি-নিষেধ শিথিল হলেও ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের তরফে। কিন্তু একেক রুটের বেসরকারি বাস, একেক রকম ভাড়া দাবি করছে।
বাংলায় বাস ভাড়া বাড়েনি ঠিকই, তবে ঐচ্ছিক অনুদান এখন বাধ্যতামূলক অনুদানে পরিনত হয়েছে। অনুদান বাবদ অতিরিক্ত ভাড়া দিতে নারাজ যাত্রীরা। এদিকে বাসের কন্ডাক্টরাও অনুদান আদায় করে ছাড়ছেন।
বিশেষ করে কলকাতা ও শহরতলির সংযোগকারী বেসরকারি বাসগুলিতে এই বাধ্যতামূলক অনুদানের ঠেলায় প্রায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। ভাড়া নিয়ে বচসা এখন নিত্যদিনের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নিত্যযাত্রীদের।
বেসরকারি বাস-মিনিবাসের এই ইচ্ছামতো বাড়তি ভাড়া আদায়ে রাশ টানতে কড় পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। সূত্রের খবর, সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই বাসে ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’-এ যাত্রীদের আসনে থাকবেন মোটর ভেহিকেলসের ইনসপেক্টররা।
এই মুহূর্তে রাজ্য পরিবহণ দফতরে প্রায় ৬০০ জন মোটর ভেহিকেলসের ইনসপেক্টর রয়েছেন। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাঁরা এ বার সাধারণ যাত্রী হয়েই বাসে চড়বেন, টিকিট কাটবেন। ভাড়া আদায়ে অনিয়ম দেখলেই আইনত কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট বাসের বিরুদ্ধে।
সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অনুদানের নামে যাত্রীদের থেকে জোর করে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা কখনওই সমর্থনযোগ্য নয়। তবে বাস পরিষেবা চালু রাখার ক্ষেত্রে সম্প্রতি যতটা খরচ বেড়েছে, সে বিষয়টিও সরকারকে বুঝতে হবে এবং সেই মতো ভাড়া বাড়াতে হবে।