গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের ওপরে সক্রিয় রয়েছে মৌসুমী বায়ু। পাশাপাশি একইসঙ্গে সক্রিয় রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। নিম্নচাপ ও ঘূর্ণাবর্তের জোড়া প্রভাবে রবিবারও রাজ্যজুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস। বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে দক্ষিণ বাংলাদেশ এবং সংলগ্ন এলাকার ওপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। পাশাপাশি বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্পও স্থলভাগে প্রবেশ করছে। যার জেরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পাশাপাশি ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গে। ফলত বৃষ্টির হাত থেকে রাজ্যবাসীর এখনই রেহাই নেই।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, একনাগাড়ে বৃষ্টি হয়েই চলেছে কদিন ধরে। বৃষ্টির জেরে কলকাতার একাধিক জায়গা জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। জল সামান্য কমতেই, আবারও শুরু হচ্ছে মুষলধারে বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতর সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, নিচু এলাকাগুলি এদিনও প্লাবিত হতে পারে।
কলকাতায় টানা চলতে থাকা বৃষ্টির ফলে তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের থেকে ৭ ডিগ্রি কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের ৭ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের ২ ডিগ্রি কম। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৮ শতাংশ।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তরবঙ্গের আটটি জেলার সবকটিতেই ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরমধ্যে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা।
হাওয়া অফিস বলছে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যের দক্ষিণের জেলাগুলিতেও। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘন্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বইছে। সেইকারণে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পাশাপাশি লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
তবে আগামী সপ্তাহের বৃষ্টি কমতে পারে। সোম থেকে আবহাওয়ার উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে।