সোনালী শ্যামল বাংলায় ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে রয়েছে নানা রকমের জিনিষের গুরুত্ব। এক সময় গ্রাম বাংলার মানুষের যাতায়াতের বাহনই ছিলো গরু-মহিষের গাড়ি। কালের বিবর্তনে এখন গরু-মহিষের গাড়ি প্রায় বিলুপ্তির পথে।
একসময় গরু-মহিষের গাড়িই ছিল এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রে ভরসা! বরযাত্রী থেকে শুরু করে কনে আনা চলতো এগুলো দিয়ে। জমি থেকে ধান আনা, জমিতে জৈব সার নিয়ে যাওয়া, মালামাল পরিবহনেও এগুলো ছিল অপরিহার্য। এখন গরু-মহিষের গাড়ি প্রায় দেখা যায় না বললেই চলে।
কিন্তু যেভাবে জ্বালানির দাম বাড়ছে তাতে কি ফের একবার মহিষের গাড়ির যুগ ফিরতে চলেছে? এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পেট্রোল-ডিজেলের দাম এক-দুদিন অন্তর বেড়ে চলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। এর প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। আর অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রতিবাদ জানানোর প্রতীক হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে গরু ও মহিষের গাড়িকে।
তেমন চিত্রই ধরা পড়ল হুগলি জেলায়।
আরামবাগে পৌরসভার প্রশাসক স্বপন নন্দী ও প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরার নেতৃত্বে তৃণমূল সমর্থকরা এদিন মহিষের গাড়িতে চড়ে পেট্রলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানান।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল বানিয়ে তার শবযাত্রা বার করা হয়।
একই চিত্র ধরা পড়ে হুগলির চুঁচুড়াতেও। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল বানিয়ে তা গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া হয়।
পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল নিয়ে শবযাত্রাও বার করে তৃণমূলকর্মীরা।