উত্তরবঙ্গের চা শ্রমিকদের হয়রানি কমাতে চা বাগানগুলিতে ইন্টারনেট পরিষেবার মাধ্যমে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করল রাজ্য শ্রম দপ্তর।
ইতিমধ্যে দুটি বন্ধ বাগান খোলা হলেও উত্তরবঙ্গের বাকি বন্ধ চা বাগান গুলিকেও দ্রুত যাতে খোলা যায় সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো রাজ্য শ্রমদপরের দপ্তরের বৈঠকে।
উত্তরবঙ্গের বন্ধ চা বাগানগুলির বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সোমবার শিলিগুড়ি স্টেট গেস্ট হাউসে উত্তরবঙ্গের সাতটি জেলার শ্রমদপ্তর আধিকারিক ও চা বাগান ইউনিয়ন গুলোর সাথে করলেন রাজ্য শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না।
এদিনের এই বৈঠকে উত্তরবঙ্গের বন্ধ চা বাগানগুলিকে কি করে দ্রুত খোলা যায় সেই বিষয় নিয়ে যেমন আলোচনা করা হয় তেমনই চা বাগান এলাকাগুলির চা শ্রমিকদের সমস্যাগুলি নিয়ে বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে চা বাগান শ্রমিক সংগঠনের তরফেও বেশ কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে শ্রম দপ্তরের কাছে।
এদিন বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, উত্তরবঙ্গের বাগরাকোট ও তোর্সা চা বাগান ইতিমধ্যে খোলা হয়েছে। এছাড়াও আরও বাকি ১৩ টি বন্ধ চা বাগানকে কি করে দ্রুত খোলা যায় সেদিন নিয়ে আলোচনা চলছে।
এছাড়াও মন্ত্রী এদিন বলেন চা বাগান শ্রমিকদের হয়রানি কমাতে চা বাগান এলাকাগুলিতে পর্যাপ্ত ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি ব্যবস্থা করে ব্যাংকিং প্রযুক্তির অত্যাধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া যেতে পারে তা নিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।
এছাড়াও এদিন মন্ত্রী আরও বলেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের কথা মাথায় রেখে চা বাগান এলাকায় শ্রমিকদের স্বার্থে চা বাগানের স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যপরিসেবা দেওয়া যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
অন্যদিকে এদিন মন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন,কেন্দ্রীয় সরকারের চা বাগানের মহিলা ও শিশুদের উন্নয়নকল্পে দেড় হাজার কোটি টাকা বাজেটে ধরেছে কিন্তু সেই টাকা দেওয়া হচ্ছে না রাজ্যকে। তাই সেই টাকা কে কি করে আনা যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে।
এদিনের এই বৈঠকে শ্রমমন্ত্রীর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শ্রম কমিশনার জাভেদ আখতার, শ্রম দপ্তরের প্রধান সচিব বরুণ রায় উত্তরবঙ্গের ২২ টি চা বাগান শ্রমিক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ জয়েন্ট ফোরামের আহ্বায়ক জিয়াউল আলম, অলক চক্রবর্তী সহ বিভিন্ন চা বাগান শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও উত্তরবঙ্গের শ্রম দপ্তরের আধিকারিকেরা।