বঙ্গোপসাগরে বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে উষ্ণ হয়ে গেল এবারের বড়দিন। সেইসঙ্গে কমল শীতের প্রকোপও।
আজ ঠান্ডার দাপট কিছুটা কম থাকবে বলেই আগেই জানিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সকাল থেকেই শহর ঢেকেছিল কুয়াশার চাদরে। রোদ উঠলেও আজ আকাশ মেঘাচ্ছন্নই থাকবে সারাদিন, এমনটাই হাওয়া অফিস সূত্রে খবর।
ফলে বড়দিনে যেখানে জাঁকিয়ে শীত পড়ার কথা শহরে, সেখানে উধাও সেই আযেখানে ছিল, ১৪.৮ ডিগ্রি। আজ সেটা হয়েছে ১৭.২ ডিগ্রি। অর্থাৎ প্রায় তিন ডিগ্রি বেড়ে গিয়েছে তাপমাত্রা।
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানান হয়েছে, বড়দিনে শীতের ইনিংস তেমন জোরদার হবে না। তবে বড়দিনে শীতের অভাব মিটিয়ে দেবে বর্ষশেষের রাত, এমনটাই আশা করা হচ্ছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, বর্ষশেষে জাঁকিয়ে শীত পড়বে শহরে। সপ্তাহান্তে তাপমাত্রা হু হু করে নামবে। বুধবার থেকে তাপমাত্রা নিম্নমুখী হতে শুরু করবে।
২৯ এবং ৩০ ডিসেম্বর তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের প্রকোপ কাটতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই হু হু করে উত্তুরে হাওয়া ঢুকতে শুরু করবে রাজ্যে। তার জেরে পারদ পতন শুরু হয়ে যাবে।
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় রাজ্যের কোথাও কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। রবিবার থেকে তিন দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কেবল দার্জিলিং জেলায়। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। মঙ্গলবারেও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা দার্জিলিংয়ে।
সোমবারেও বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, মালদা এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। দক্ষিণবঙ্গেও সোমবার হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি কোথাও বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই।