দক্ষিণবঙ্গে মূলত শুষ্ক আবহাওয়া চলছে। রাতের দিকে এবং ভোরের বেলা হালকা শীতের অনুভূতি থাকলেও, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা উধা্ও হচ্ছে। বলতে গেলে রাজ্য থেকে শীত প্রায় বিদায় নিয়েছে।
তবে শীতের বিদায় মুহূর্ত হাজির হলেও বিরাম নেই বৃষ্টির। রাজ্যে নতুন করে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাজ্যের বেশিরভাগ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে বুধবার মূলত শুষ্ক ওয়েদার থাকবে, বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই। তবে ২৪ থেকে ২৬ এই সময়টায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ বৃহস্পতি ও শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টি হতে পারে।
বৃহস্পতিবার বিশেষ করে বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এই জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
আগামী শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলার কিছু কিছু জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
২৬ তারিখ অর্থাৎ শনিবার রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলি অর্থাৎ বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, বীরভূমে আবারো বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।
কলকাতার ক্ষেত্রেও কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে আগামী শুক্রবার।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা কোন পরিবর্তন না হলেও কিন্তু আগামী পাঁচ দিনে আরও ২ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা আছে বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। তবে ২৪ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি এই সময়ে ২৫ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার সমস্ত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এবং পূবালী হাওয়ায় কারণেই বৃষ্টির এই ভ্রুকুটি। তবে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হয়ে যাওয়ার পরে আর ঠান্ডা ফিরে আসার কোন সম্ভাবনা নেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছে হাওয়া অফিস। অর্থাৎ পাকাপাকি ভাবে বিদায় নেবে শীত। ইতিমধ্যেই দিনের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। বৃষ্টি বিদায় নিলে রাতের তাপমাত্রাও বাড়তে থাকবে।
এদিকে বুধবার শহর কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিক বলছে হাওয়া অফিস। মঙ্গলবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।