গৃহকর্তার পর স্বেচ্ছামৃত্যুর জন্য নিজেদের ঘরবন্দি কর রেখেছিল গোটা পরিবার। দিনের পর দিন দেখা নেই। শেষমেশ এক আত্মীয় তাঁদের ফোন করে জানতে পারেন, তিনজনেই মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। আজ অর্থাত্ সোমবার তিনজনকে দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয়। হুগলির উত্তরপাড়ায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
স্বেচ্ছামৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছিলেন ৩ জন
জানা গিয়েছে, উত্তরপাড়ার রাজেন্দ্র অ্যাভিনিউ এলাকায় ২২ দিন আগে মৃত্যু হয় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী গগনবরণ মুখোপাধ্যায়ের (৮৫)। ওই মৃত্যুর পর থেকেই নিজেদের গৃহবন্দি করে ফলেন স্ত্রী শ্যামলী মুখোপাধ্যায়, ছেলে সৌরভ মুখোপাধ্যায় এবং মেয়ে চুমকি মুখোপাধ্যায়। গোটা পরিবার ছেড়ে দিয়েছিল খাওয়া দাওয়া। এভাবেই তারা ক্রমশ মৃত্যুর দিকে ঢলে পরতে থাকেন। কেউ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। এক আত্মীয় বৈষ্ণবদাস মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গত ৪ ফেব্রুয়ারি শেষ কথা হয়েছিল তাদের সঙ্গে। গগনবাবুর মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত হয় পরিবারের সদস্যরা। সেই কারণেই এই অবস্থা হতে পারে।
২২ দিন ধরে গৃহবন্দি তিনজন
বৈষ্ণবদাস মুখোপাধ্যায়ের কথায়, 'গত ৪ ফেব্রুয়ারি শেষ বার কথা হয়েছিল ওদের সঙ্গে। গগনবাবুর মৃত্যুতে শোকাহত ছিলেন পরিবারের বাকি সদস্যেরা। কিন্তু এমনটা কেন করলেন বোঝা গেল না।' স্থানীয়োরা জানাচ্ছেন, মৃতের ছেলে এবং মেয়ের বয়স পঞ্চাশের কোঠায়। দু’জনেই অবিবাহিত। রোজগার বলতে তেমন কিছু নেই। গগনের মৃত্যুর পর স্ত্রী যাতে পেনশন পান, সে জন্য সরকারি অফিসে যাতায়াত ছিল তাঁদের। কিন্তু তার পর পরিবারের তিন জনের কাউকেই বাড়ির বাইরে দেখা যায়নি।
সকলকে উত্তরপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে
আজ তিনজনকেই বাড়ির দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় কাউন্সিলর উৎপলাদিত্য চট্টোপাধ্যায়,পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব পুলিশকে নিয়ে ওই বাড়িতে যান ভর্তি করা হয়েছে উত্তরপাড়া হাসপাতালে। দিলীপ যাদব জানান, এলাকার কাউন্সিলর আমাকে জানান বিষয়টি। আমি পুলিশকে জানাই। পুলিশ এসে তালা ভেঙে তিন জনকে উদ্ধার করেছে।