বাংলাদেশের সনাতনী প্রতিবাদী সাধু চিন্ময়কৃষ্ণ দাস প্রভুর গ্রেপ্তারি ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান কিছুটা হলেও বদলেছে বাংলাদেশ ইসকন কর্তৃপক্ষ। গ্রেপ্তার হওয়া প্রতিবাদী সাধুর সঙ্গে সংগঠনের কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানালেও সংখ্যালঘু হিন্দুদের স্বার্থরক্ষার বিষয়ে তাঁর আন্দোলনকে সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছে সেদেশের ইসকন কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে সারাদেশ জুড়ে ইসকনের সন্ন্যাসীরা প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। এরাজ্যে মায়াপুরে ইসকনের প্রধান কার্যালয়ে অভিনব প্রতিবাদ হল। হরিনাম সংকীর্তনের মাধ্যমে রীতিমতো অহিংস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের এই ঘটনায় অন্তবর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসকে বার্তা দেওয়া হল। সেদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর চলা নরকীয় অত্যাচার বন্ধ করা বিষয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। ইসকনের প্রধান কেন্দ্র মায়াপুরের চন্দ্রোদয় মন্দিরে রবিবার, ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রাধা মাধবের বিগ্রহের সামনে অসংখ্য কৃষ্ণ ভক্তদের নিয়ে বাংলাদেশে সনাতনীদের ক্রমাগত নির্যাতনের প্রতিবাদে ও সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের নিঃস্বার্থ মুক্তির দাবিতে হরিনাম সংকীর্তনের মাধ্যমে সোচ্চার হলেন ইসকন ভক্তরা।
এই প্রথম বাংলাদেশের ঘটনার প্রতিবাদে আসরে নামতে দেখা গেল ইসকনের প্রধান কেন্দ্র মায়াপুর চন্দ্রোদয় মন্দিরের ভক্তদের। চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই উত্তাল সমগ্র বাংলাদেশ। সেখানে লক্ষ লক্ষ সনাতনী পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নিঃস্বার্থ মুক্তি দাবিতে,ব্যতিক্রম নয় ভারতবর্ষ।পশ্চিমবঙ্গ- সহ ভারতের বেশকিছু রাজ্যে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছে বেশকিছু হিন্দু সংগঠনের পাশাপাশি সনাতন ধর্মালম্বী মানুষজনকে। রবিবার বিকেলে হিন্দুদের অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলনে অন্যতম মুখ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে ও সনাতনীদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে মন্দির নগরী মায়াপুরে প্রতিবাদ মিছিলের পাশাপাশি একটি বিক্ষোভ সভা করে বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ মঞ্চ।