নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ। কাঠগড়ায় গৃহশিক্ষক। জানাজানি হতে হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে দাবি নির্যাতিতার পরিবারের। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তাল গোটা রাজ্য। ঠিক সেই সময় এই ঘটনায় আরও একবার সমাজে নারী নিরাপত্তা নিয়ে উঠল বড়সড় প্রশ্ন। সমাজতত্ত্ববিদরা বলছেন, এই ধরনের ঘটনা সামাজিক অধঃপতনের নির্দশন। শিক্ষিতরাও যখন এই ধরনের অপরাধ ঘটায় তখন প্রকৃত শিক্ষা প্রশ্ন ওঠাটা স্বাভাবিক।
জানা গিয়েছে, বারুইপুরের রেল কোয়ার্টারের কোচিং সেন্টারে নাবালিকাকা ছাত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করত গৃহশিক্ষক। ওই ছাত্রীর বয়স ১৪। ঘটনার কথা ছাত্রীর মা-বাবা জানতে পারেন। অপরাধ ধামাচাপা দিতে তাঁদের প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকিও দেয় ওই শিক্ষক।
পুলিশ সূত্রের খবর, বারুইপুর স্টেশন সংলগ্ন রেল কোয়ার্টারে কোচিং সেন্টার চালায় ওই শিক্ষক। সেখানে পড়তে যেত নাবালিকা। অভিযোগ, নাবালিকার উপরে মানসিক চাপ দিত ওই শিক্ষক। গত ৩-৪ মাস ধরেই চলত নির্যাতন। ভয়ে নাবালিকা বাড়িতে কিছু জানায়নি। তবে পড়তে যাওয়ার সময় তার অস্বাভাবিক আচরণ দেখে সন্দেহ হয় মা-বাবার। নাবালিকাকে চাপ দিতেই সে সবটা খুলে বলে।
বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রীর বাবা-মা। তার ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, কোচিং সেন্টারে একাধিক মেয়ের সঙ্গে ওই শিক্ষক জোর করে সম্পর্ক তৈরি করেছে। আদালতে পেশ করে অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। এদিকে, দিনের পর দিন নির্যাতনের শিকার হয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছন নাবালিকা। তাকে কাউন্সেলিং করানো হয়েছে।