সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের ওপরে হামলার ঘটনায় মুখ খুললেন রাজ্য পুলিশের ডিজিপি রাজীব কুমার। তিনি জানিয়েছেন, আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নেবে। আজ গঙ্গাসাগর গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই গিয়েছেন রাজীব কুমারও। সাগরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজীব বলেন, 'যারা আইন ভঙ্গ করেছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নেবে।'
শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান চালাতে যান ইডি আধিকারিকরা। তখন তাঁদের ওপরে হামলা হয়। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। যা নিয়ে তপ্ত রয়েছে রাজ্য রাজনীতি। এদিকে, ঘটনার পর থেকেই খোঁজ নেই এই তৃণমূল নেতার। ইডির দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। সন্দেশখালির ঘটনায় মোট ৩টে এফআইআর দায়ের হয়েছে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট লুকআউট নোটিসও জারি করেছে শাহজাহানের নামে।
ইডি সূত্রে খবর, শাহজাহানের প্রথম লোকেশন মিলেছিল সরবেড়িয়া গ্রামেই। পরে সেখান থেকে দ্বিতীয় লোকেশন পাওয়া যায় সন্দেশখালি। হিঙ্গলগঞ্জেও কয়েক ঘণ্টা তাঁর মোবাইলের লোকেশন মিলেছিল বলে খবর। রবিবার ফের তাঁর লোকেশন ট্র্যাক করা হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী অঞ্চলের ৮ নম্বর কুমড়োখালি এলাকায়। সেখান থেকে জীবনতলা হয়ে কোথাও গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছেন তিনি। রবিবার ছিল বাংলাদেশে ভোট। সীমান্ত সিল রয়েছে দুই দেশেই। সেখানে রয়েছে কড়া পাহারা। ভোট মিটলে শাহজাহান জলপথে বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে পারেন বলে অনুমান করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।
শনিবার সন্ধ্যায় গোপন ডেরা থেকে একটি অডিয়োবার্তায় শাহজাহান বলেছেন, ‘একদিন সকলেরই মৃত্যু হবে, তাই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আগে আর পরে।’ সঙ্গে তিনি বলেন, 'সকলের কাছে আমার অনুরোধ, সিবিআই এবং ইডিকে নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। এটা একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। ওরা মনে করছে যে আমায় দমিয়ে দিতে পারলেন সন্দেশখালির তৃণমূল কংগ্রেস দুমড়ে যাবে। তাই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমার মতো হাজার-হাজার শেখ শাহজাহান আছে।’