Dilip Ghosh Bjp: লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ফলাফল ভাল হয়নি কেন, তার ব্যাখ্য়া দিলেন দিলীপ ঘোষ। আর স্বভাবসিদ্ধভাবেই তাঁর ব্যাখ্যা প্রচার হয়ে যেতেই হইচই পড়ে গিয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। তাঁর বক্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়ে বিষয়টিকে আরও বিতর্ক উসকে দিয়েছেন খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
রবিবার বাঁকুড়ায় একটি দলীয় বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি ও প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এবারের ভোটের ফলাফল কেন এত খাারাপ হল, সেই ব্যাখ্যা করেন তিনি।তিনি বলেন, “গতবার আমাদের লড়াইয়ের কারণেই আমরা ৭৭-এ পৌঁছেছিলাম। ভেবেছিলাম এবার আরও বেশি হবে। কিন্তু হয়নি, তার মানে কোথাও ফাঁক আছে।" তাঁর দাবি, "আমাদের অভিজ্ঞতা কম। আমরা সংগঠন জানি, আন্দোলন জানি, ভোট করাতে জানি না। ভোট কীভাবে করাতে হয় তা শিখতে হবে।” দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “পার্টিতে এসে গিয়েছি। পদ পেয়ে গিয়েছি। আসছি, যাচ্ছি, খাচ্ছি করলে হবে না। বিজেপি করলে প্রত্যেককে সমানভাবে সংগঠনে মন দিতে হবে। তবেই ভাল ফল হবে।”
লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে দিলীপের দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। তিনিও কারও নাম না করলেও, রাজ্য নেতৃত্বের আচরণে তিনি যে খুশি নন, সেটা তাঁর আচরণেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। ভোটের পর রাজ্য বা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁকে পরবর্তী দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে কিছু না জানানোয় ক্ষোভ প্রকাশও করেছিলেন দিলীপ। তবে দিলীপ দলীয় বৈঠকে যোগ দেওয়া, কর্মীদের চাঙ্গা করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এবার বাঁকুড়ায় তাঁর বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে বিস্তর টানাপড়েনও চলেছে দলে। সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন দিলীপ। তারপর এটাই প্রথম, যে তিনি দলীয় নির্দেশে বিষ্ণুপুরের যদুভট্ট মঞ্চে বিজেপির ইসি বৈঠকে যান দিলীপ।
তবে তাঁর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যে মন্তব্য করেছেন, কা কার্যত দিলীপবাবুর বক্তব্যকে নস্যাৎ করে দেওয়ার শামিল। তিনি বলেন, “বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে নতুন। ২০১৭, ২০১৮ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গে লড়াইয়ে আসতে শুরু করেছি আমরা। স্বাভাবিকভাবেই মানুষের শিখতে সময় লাগে। মায়ের পেট থেকে তো কেউ সব শিখে আসে না। আমরা সময়ের সঙ্গে অনেক কিছু শিখছি।” দিলীপের বক্তব্যের পরই সুকান্তের এই বিবৃতি আসলে দলের অভ্যন্তরীন মন-কষাকষির প্রকাশ বলে মনে করেছেন অনেকে।