সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যাওয়ার পথে ফের বাধা বিরোধীদের। এবার কলকাতার সায়েন্স সিটির কাছে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে ( Nawsad Siddique) গ্রেফতার করে গাড়িতে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ। সন্দেশখালি থেক ৬২ কিলোমিটার দূরেই আইএসএফ বিধায়ককে আটক করে পুলিশ ভ্যানে তোলা হল।
সন্দেশখালির পথে ফের বাধা বিরোধীদের
প্রতিদিন নতুন করে অশান্তির আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি। ইতিমধ্যেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হাইকোর্টের ছাড়পত্র পেয়ে সন্দেশখালি ঢুকেছেন। মুখে ওড়না ঢেকে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে সন্দেশখালি ঢুকে নির্যাতিতাদের অভিযোগ শুনে এসেছেনডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। আজ অর্থাত্ মঙ্গলবার সকালে সন্দেশখালির পথে রওনা দেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।
গ্রেফতার করা হল নওশাদ সিদ্দিকিকে
সায়েন্স সিটির কাছেই বিধায়ককে আটকায় পুলিশ। সেখানেই তাঁকে গ্রেফতার করে ভ্যানে তোলা হয়। সায়েন্স সিটি থেকে ৬২ কিলোমিটার দূরে সন্দেশখালি। সায়েন্স সিটি এলাকায় ১৪৪ ধারা নেই। তাহলে কেন নওশাদকে গ্রেফতার করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিধায়ক ও তাঁর সঙ্গে থাকা আইএসএফ প্রতিনিধি দল। পুলিশের সঙ্গে সেই মুহূর্তে বচসায় জড়িয়ে পড়েন আইএসএফ বিধায়ক। নওশাদের পাল্টা দাবি, তিনি কোথাও জোর করে প্রবেশের চেষ্টা করেননি। এমনকি পুলিশের ব্যারিকেডও ভাঙেননি তিনি।
পশ্চিমবঙ্গে স্বৈরতন্ত্র চলছে, অভিযোগ নওশাদের
পুলিশের আরও দাবি, ১৪৪ ধারা ভঙ্গের জন্য নয়, নওশাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে অশান্তি এড়াতে। যাতে সন্দেশখালি এলাকায় নতুন করে কোনও অশান্তি তৈরি না হয়, সেই কারণেই আইএসএফ বিধায়ককে আটকে দেওয়া হয়েছে। দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ নওশাদ সাংবাদিকদের বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে স্বৈরতন্ত্র চলছে। পুলিশ চাটুকারিতা করছে। এখানে ১৪৪ ধারা নেই, আমি কোনও ব্যারিকেডও ভাঙিনি। তা সত্ত্বেও আমাকে বিনা কারণে গ্রেফতার করা হল।’