জমে উঠেছে তালডাংরা বিধানসভা উপনির্বাচনের শেষ মুহূর্তের প্রচার। নির্বাচনের ঠিক আগে আগে রাজনৈতিক দলগুলি তাদের শীর্ষ নেতৃত্বকে দিয়ে প্রচার চালাচ্ছে জোর কদমে। তালডাংরায় বিজেপি-কে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম খোঁচা দিলেন বিধায়ক সংখ্যা নিয়ে। পাল্টা বিজেপি-র নিশানা, ' ফিরহাদ হাকিমও তো কান্নাকাটি করেন।'
রবিবার ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় তালডাংরা উপনির্বাচনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ফাল্গুনী সিংহর সমর্থনে ক্ষীরপাই গ্রামে একটি নির্বাচনী প্রচার সভা করেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপিকে কার্যত এক হাত নিলেন। মঞ্চে বক্তব্যের রাখার সময় তিনি বলেন, 'বিধানসভায় বিজেপি ৭৭টি আসন পেয়েছিল। যার মধ্যে অর্ধেক পালিয়ে গিয়েছে। এখন শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ৫০ থেকে ৬০ জন বিধায়ক ঘুরে বেড়াচ্ছে। তার মধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁরা দেখা করছে রোজ আর 'বিজেপিতে থাকতে পারছি না বলে। কিন্তু অভিষেক বলেছেন, এখন দরজা বন্ধ আছে।'
শুধু তাই নয় তিনি এও বলেন, বিজেপির 'মদতদাতা' হিসেবে কাজ করছে সিপিআইএম-কংগ্রেস'। কংগ্রেসের দিল্লির নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'সঙ্গে আছি' বললেও এরাজ্যের 'ছাগলের তৃতীয় বাচ্চা'রা চেঁচাচ্ছে। যে অধীর নিজের বহরমপুরে জিততে পারেনি, সে নাকি বাংলা সামলাবে। এছাড়াও সিপিআইএম-বঙ্গ কংগ্রেস 'মীরজাফরে'র ভূমিকা পালন করছে।
এ বিষয়ে সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী ফোনে প্রতিক্রিয়া দেন, 'মাঝে মাঝে তো ফিরহাদ হাকিমও তো কান্নাকাটি করেন। বিজেপির বিধায়করা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর সাথে দেখা করে,এটা শুধুমাত্র বাজার গরম করার জন্য বলা ছাড়া আর কিছু নয়।'
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তালডাংরা কেন্দ্র থেকে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি-র শ্যামল সরকারকে হারিয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী ৷ সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে তাঁকেই বাঁকুড়া কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করে তৃণমূল ৷ ভোটে জিতে এই মুহূর্তে সাংসদ হয়েছেন বাঁকুড়া সাংঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী । ফলে ১৩ নভেম্বর তাঁর ছেড়ে যাওয়া এই কেন্দ্রে হতে চলেছে উপনির্বাচন।
রিপোর্টার: নির্ভীক চৌধুরী