টানা অশান্তি চলছে সন্দেশখালিতে। বাড়ছে চাপানউতোর। শাসকদলের বিরুদ্ধে ফুঁসছে সন্দেশখালির বাসিন্দাদের একাংশ। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে শিবু হাজরার পোলট্রি থেকে বাগানবাড়ি। গ্রামেরই কিছু লোকজনকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। তাতেই আরও বাড়ে বিক্ষোভের আঁচ। অভিযগে, এরইমধ্যে এদিন পাল্টা জেলিয়াখালির দখল নেওয়ার চেষ্টা করে শিবু হাজরার লোকজন। কিন্তু সেসবের মধ্যেই সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে দাবি করছেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ ভর্মা।
শুক্রবার দুপুরে মনোজ ভর্মা বলেছেন, এখন পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আছে। এদিন দুপুরে কিছু ঘটনা হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। গত তিনদিন ধরে যা ঘটছে কেন ঘটছে, কারা এর পিছনে আছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, এদিন সকালে সন্দেশখালির জেলিয়াখালি এলাকায় শিবুর তিনটি পোলট্রি ফার্মে আগুন ধরিয়ে দেন এলাকার মানুষ। নেতৃত্বে ছিলেন মহিলারা। শিবু ছাড়াও শাহজাহান, উত্তম হাজরাদের গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। ওই এলাকার কাছাকাছি দমকল না থাকায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। পরে শিবুর বাড়ি এবং বাগানবাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।
শাহজাহান, শিবুদের মতো তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গ্রামে অত্যাচার চালান তাঁরা। জোর খাটিয়ে গ্রামবাসীদের দিয়ে নানা কাজ করিয়ে নেন ইচ্ছার বিরুদ্ধে। জমি জবরদখল থেকে শুরু করে বিভিন্ন অত্যাচারের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। জমি দখল করেই ওই পোলট্রি ফার্ম তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বিক্ষোভকারী মহিলারা জানান, তাঁদের স্বামীদের জোর করে কাজ করতে বাধ্য করা হত। কাজ করার পর মেলে না প্রাপ্য পারিশ্রমিক। টাকা চাইতে গেলে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ শিবুদের বিরুদ্ধে। শুক্রবারের ঘটনায় নতুন করে আরও আট জনকে আটক করেছে পুলিশ।