Bangla.aajtak.in এর খবরের জের। শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাবের দখল থেকে সন্দেশখালির সেই মাঠ ফেরানোর কাজ শুরু করল প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় বিধায়কের উপস্থিতি ওই মাঠের তালা খুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও, মাঠের বাউন্ডারি ওয়ালে লেখা 'শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব'-ও চুনকাম করে মুছে দেওয়া হয়েছে। মাঠে ইতিমধ্যেই স্থানীয়রা প্রবেশ করতে শুরু করেছেন।
সন্দেশখালি বিডিও অফিস থেকে সোজা এগিয়ে গেলে ঋষি অরবিন্দ মিশন পাড়া। রাস্তার পাশের বড় মাঠটা যে কারও নজর পড়বেই! গেটে লেখা, শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২২! পাঁচিলে লেখা 'শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব।' এলাকার লোকজনের অভিযোগ, ওই মাঠের আগের নাম ছিল ঋষি অরবিন্দ ময়দান। শাহজাহানের সাঙ্গপাঙ্গরা তাঁর নামে ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছিল সেই মাঠে। তারপর থেকেই সেই মাঠের নতুন নামকরণ হয় সন্দেশখালির দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতার নামে। এখনও সন্দেশখালিতে জায়গায় জায়গায় রয়েছে শেখ শাহজাহানের ছবির ফ্লেক্স।
বাংলা ডট আজতক ডট ইনের প্রতিনিধিকে লোকজন জানিয়েছিলেন যে মাঠের আগের নাম ঋষি অরবিন্দর নামে ছিল। এছাড়াও, এখানে স্টেডিয়াম হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আচমকা মাঠের নাম হয় শেখ শাহজাহানের নামে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, আগে এলাকার ছেলেমেয়েরা এই মাঠে খেলাধুলো করত। যদিও পরে সেসবের পাট চুকে যায়। ক্রমেই মাঠের দখল নিয়ে নেয় শাহজাহানের অনুগামীরা। এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই মাঠ থেকেই খাবার জুটত গবাদি পশুদের। কিন্তু শেখ শাহজাহানের নামাঙ্কিত ফুটবল টুর্নামেন্ট হওয়ার পর থেকে ওই মাঠে গরু-ছাগলের প্রবেশাধিকার বন্ধ হয়েছে।
অভিযোগ, এলাকার কারও গোরু বা ছাগল ওই ‘ময়দানে’ ঢুকলে, দিতে হত ৩০০-৪০০ টাকা জরিমানা। সেই ‘স্বঘোষিত মাতব্বর’রা এলাকা ছাড়া হতেই, এখন নির্বিঘ্নে ওই মাঠেই চরছে গোরু-ছাগল। সন্দেশখালির লোকজন বলছেন, এই মাঠে এক সময় কলেজ হওয়ার কথা ছিল। তা আর হয়নি। মাঠের চারপাশে প্রচুর গাছ ছিল, ছেলেরা খেলত। গোরু-ছাগলও চরত। বর্ষার সময় ওই মাঠ আমাদের বড় ভরসা ছিল। বছর তিনেক আগে আচমকা শিবুর দলবল সব গাছ কেটে নিল, জানাল স্টেডিয়াম হবে। কোথায় স্টেডিয়াম! শুরু হল, শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্ট। উদ্বোধনে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও বিধায়ক নির্মল ঘোষ এসেছিলেন।