রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটা নিয়ে সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার সন্দেশখালিতে একটি দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করার পরে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন করতে হবে। বিরোধী দলনেতা এটাও দাবি করেন যে এই রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়বে। তিনি বলেন, 'বাংলায় ৭০ ভাগ মানুষ হিন্দু। তাদের আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাংলাতে ঐক্যবদ্ধ হব। আমরা একটা সরকার গড়ব। সেই সরকার সুশাসন উপহার দেবে, সুরক্ষা দেবে। আমাদের কোনও ধর্মের প্রতি বিতৃষ্ণা নেই। কারোর বিরোধিতা করি না।'
এরপরেই জয়নগরের নাবালিকাকে খুনের ঘটনা নিয়ে তীব্র আক্রমণ করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন না করা পর্যন্ত আমাদের বোন, দিদিরা সুরক্ষিত নয়। সব জায়গায় অভিযুক্তরা তৃণমূলের লোক।'
আরজি কর কাণ্ডে প্রথম চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। সেই চার্জশিটে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়র সঞ্জয় রায়কেই ধর্ষণ ও খুনে জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চার্জশিট অনুযায়ী, মহিলা ডাক্তারের ধর্ষণ ও হত্যায় সঞ্জয় রায়ের সরাসরি জড়িত থাকার ১১টি জোরাল প্রমাণ আছে সিবিআই-র কাছে। শিয়ালদা আদালতে দাখিল করা চার্জশিটে CBI-এর দাবি, বেশ কিছু তথ্য, পরিস্থিতি, মৌখিক ও নথিবদ্ধ প্রমাণ এবং ফরেনসিক/বৈজ্ঞানিক রিপোর্ট রয়েছে। আর সেগুলি থেকেই প্রমাণ হয় যে, সঞ্জয় রায়ই আরজি কর-এর সেমিনার হলের ভিতরে এই অপরাধ করেছিলেন।
এই নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ধর্ষণ ও খুন, প্রমাণ লোপাট ও আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি, এই তিনটে পার্টে সিবিআই তদন্ত করছে। ৬০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক চার্জশিট না দিলে ধৃত জামিন পেয়ে যেত। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেবে পরে। ধর্ষণের প্রমাণ লোপাট করে সিবিআই-র হাতে তদন্তভার দেওয়া হয়। সিবিআই ভাল কাজ করছে। আমাদের ভরসা আছে। তথ্য প্রমাণ লোপাট ও ধর্ষকদের বাঁচানোর চেষ্টা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে সিবিআই কড়া ব্যবস্থা নিক। জ্যোতি বসুর আমলে সিপিএম যা করেছিল, এখন তৃণমূল একই কাজ করছে। সিপিএম ও তৃণমূল একই কয়েনের এপিঠ আর ওপিঠ।'