পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-র যে উত্থান ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে দেখা গিয়েছিল, ক্রমেই তা ফিকে হয়েছে। লোকসভা ভোটে চূড়ান্ত খারাপ ফল। উপনির্বাচনেও শূন্য ঝুলি। এহেন পরিস্থিতিতে রাজ্য বিজেপি-কে তাত্পর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ED বা CBI দিয়ে ভোটে জেতা যায় না।
'ইডি, সিবিআই দেখিয়ে ভোটে জয় আসবে না'
বিজেপি ইডি, সিবিআই-এর মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে, এই অভিযোগ বারবার করে আসছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রেও বিরোধীদের একই অভিযোগ ভোটের আগে নানা জায়গায় সিবিআই, ইডি বা আয়কর বিভাগের হানা ও গ্রেফতারের একাধিক নজির রয়েছে। এবার খোদ রাজ্য বিজেপি-র গলাতেও সমালোচনা। হিন্দমোটরের সভায় বিজেপি-র খারাপ ফলের বিশ্লেষণ করতে গিয়ে সুকান্ত বললেন, 'আপনি পরিশ্রম করে যদি সংগঠন তৈরি করতে পারেন, তা হলে জিতবেন। আর না পারলে কোনওদিন জিতবেন না। ইডি, সিবিআই দেখিয়ে ভোটে জয় আসবে না। সব ছেড়ে আগে দলের সংগঠন মজবুত করার লক্ষ্যে ঝাঁপানো জরুরি। নরেন্দ্র মোদী আসবেন, ম্যাজিক ছড়িয়ে দেবেন, আমরা জিতে যাব—এটা হয় না। অনেকেই বলেন, দাদা সিবিআইকে বলুন। ওকে জেলে ঢুকিয়ে দিন। জিতে যাব। এসব করে কাঙ্ক্ষিত জয় আসবে না।'
'বীরভূম দখল করতে পারিনি আমরা'
বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নামও শোনা যায় সুকান্তর মুখে। বলছেন, 'অনুব্রত মণ্ডলও তো জেলে রয়েছেন। তারপরও তো বীরভূম দখল করতে পারিনি আমরা। লোকসভা ভোটে বীরভূমের দু’টি আসনে জয় আসেনি।' বালুরঘাটে লোকসভা নির্বাচনে জিতে এবারে কেন্দ্রে শিক্ষামন্ত্রী রাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন সুকান্ত। রাজ্য বিজেপি খুব শীঘ্রই নতুন সভাপতি পাবে। একাধিক নাম ঘিরে জল্পনা চলছে। সুকান্ত মজুমদারের সভাপতি মেয়াদ শেষের পথে।
'কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করিয়ে কিছু হবে না'
পাণডুয়ার সভাতেও দলের খারাপ ফলের বিশ্লেষণে সুকান্তর বার্তা, 'কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করিয়ে কিছু হবে না। জিততে হলে দলীয় নেতা-কর্মীদেরই আরও সক্রিয় হতে হবে। ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। তবে সেটা বিরিয়ানির মশলার মতো। বিরিয়ানির চাল আর মাংস হতে হবে দলের কর্মীদেরই। তবেই ভাল বিরিয়ানি হবে।'