রবিবার গিয়েছে গুরু পূর্ণিমা। আর পূর্ণিমার কোটালের জেরে গঙ্গাসাগরে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে ভাঙল কপিলমুনি মন্দিরের সামনে ঢালাই রাস্তা। কোটালের প্রভাবে উত্তাল সমুদ্র। পূর্ণিমার কোটাল ও নিম্নচাপের জোড়া ফলায় ভয়াবহ ধসের মুখে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরের সমুদ্রতট। অস্থায়ী দোকান পাট, লাইটপোস্ট সহ বেশ কিছু গাছপালা চলে গিয়েছে সমুদ্র গর্ভে। এদিকে পূর্ণিমার কোটালে উত্তাল সমুদ্রের ঢেউয়ে দুটি মাছ ভর্তি নৌকা গঙ্গাসগরে উল্টে গিয়েছে বলেও খবর পাওয়া গিয়েছে। যার ফলে ক্ষতির মুখে কয়েক লক্ষ টাকা।
প্রসঙ্গত, নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার কোটালের জেরে আবারো দুর্যোগের ভ্রুকুটি সুন্দরবন জুড়ে। কোটালে উত্তাল হয়েছে সমুদ্র। সমুদ্রের জলস্তর যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ে আবারো রাজ্যের অন্যতম তীর্থ পর্যটন কেন্দ্র গঙ্গাসাগরের কপিলমুনির মন্দিরের সামনে তিন নম্বর ঘাট থেকে পাঁচ নম্বর ঘাট পর্যন্ত ঢালাই রাস্তা সহ বেশ কিছু লাইটপোস্ট, গাছপালা ও বেশ কিছু অস্থায়ী দোকান ভেঙে পড়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই কপিলমুনির মন্দিরের সামনে সমুদ্র লাগোয়া সমস্ত অস্থায়ী দোকান খুলে নেওয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে। কপিলমুনি মন্দিরের সামনে গঙ্গাসাগর সমুদ্র পাড়ে প্রশাসনের তরফে শুরু করা হয়েছে মাইকিং করে মানুষকে সতর্ক করার কাজ। গঙ্গাসাগর সমুদ্র সৈকতে নামতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
গত দু'দিন ধরেই প্রশাসনের তরফ থেকে মাইকিং করে প্রচার হচ্ছিল দূরবর্তী স্থানে থাকা মাছ ধরার নৌকাগুলো যাতে কূলে ফিরে আসে, যেকোনো মুহূর্তে বিপদ হতে পারে। ইতিমধ্যে গঙ্গাসাগরের বেগুয়াখালীর কাছে মাছ ধরে ফেরার সময় দুটি ইলিশ ভর্তি মাছ ধরার নৌকা বা ডেইলি ফিসিং বোট সমুদ্রে উথাল পাতাল ঢেউয়ে উল্টে যায়। অসুস্থ হয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবী। তড়িঘড়ি তাদেরকে পাঠানো হয় হাসপাতালে। মাঝি-মাল্লাদের চিৎকার শুনে আশেপাশের মৎস্যজীবীরা অন্যান্য ফিসিং বোর্ড নিয়ে ছুটে যায় ঘটনাস্থলে। চলে আসেন এলাকার মানুষও। উদ্ধার করা হয় ওই মৎস্যজীবীদের। প্রায় ৪০ থেকে ৫০ কুইন্টাল মাছ ভর্তি নৌকা দুটির বেশিরভাগ মাছ নদীতে ভেসে গেছে। যদিও মাছ উদ্ধার করা গিয়েছে। স্থানীয় মানুষ দড়ি দিয়ে নৌকা দুটি টেনে উপরে তোলার চেষ্টা করেন।