'সন্দেশখালিতে যারা আইন ভেঙেছে, তারা গ্রেফতার হবে', বৃহস্পতিবার একথা জানালেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। গতকালের পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকায় টহল দিতে দেখা যায় তাঁকে। সকালে পূর্ত দফতরের বাংলো থেকে বেরিয়ে ধামাখালীর লঞ্চ ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেন। তারপর যান ছোট শেয়ারা এলাকার দিকে। সকাল ৯টা নাগাদ ধামাখালি থেকে বোটে চড়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন রাজীব কুমার।
রাজ্য পুলিশের ডিজি বলেন, 'আমি ফোর্সের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা এখানে সবার সঙ্গে কথা বলতে এসেছি। আমাদের দিক থেকে যা যা করার আমরা করব। যে সমস্যা আছে, আমরা তা শোনার এবং সমাধান করার চেষ্টা করছি। কারও যদি কোনও সমস্যা থাকে, অভিযোগ থাকে, তবে আমরা সব সময় রয়েছি সমাধান করার জন্য।'
এদিকে, 'সাগরেদ' শিবু ও উত্তম গ্রেফতার হলেও এখনও গ্রেফতার হননি তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ। এই বিষয়ে সরকারি কিছু বলেননি রাজীব কুমার। যদিও তাঁর মন্তব্য, 'যারা আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয়দের অভিযোগ শোনা হচ্ছে এবং খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ ও প্রশাসনকে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। যারাই আইন ভঙ্গ করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডির তল্লাশি অভিযান ঘিরে গোলমালের ঘটনার পর থেকেই তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার ওই এলাকা। শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ হাজরা, উত্তম সর্দারদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা। একের পর এক অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। জোর করে জমি দখল, মহিলাদের উপর অত্যাচার, যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে। তারপর থেকেই নতুন করে তেতে রয়েছে সন্দেশখালি। বুধবার সকালেই সন্দেশখালির পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যান রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার এবং বসিরহাটের পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান।