সোশাল মিডিয়ায় আলাপ হওয়া নাবাকিকা প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে 37 হাজার টাকার বিনিময়ে সোনাগাছিতে বিক্রি নাবালক প্রেমিকের। ফেসবুকের মাধ্যমে আলাপ হয় দুজনের। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। দুজনেই দক্ষিণ 24 পরগনার ঢোলা থানা এলাকার বাসিন্দা। এই ঘটনায় ঢোলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার মা। 31 জানুয়ারি কিডন্যাপের মামলা রুজু করে পুলিশ। তদন্তে নেমে এক নাবালক, এক মহিলা সহ মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরের দিনই ধর্মতলা থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। আরামবাগের হোটেলে তাঁকে দেহ ব্যবসার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। নাবালিকাকে উদ্ধারের পর অভিযুক্ত নাবালককেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নাবালিকা ও নারীপাচার চক্রের হদিস পায় পুলিশ। সোনাগাছিতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় জাইদুল ও মেহেরানা খাতুন নামে এক মহিলাকে। ধৃত প্রাপ্তবয়স্ক দুই অভিযুক্তকে কাকদ্বীপ আদালতে পেশ করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। এই বিষয়ে মন্দিরবাজারের SDPO বিশ্বজিৎ নস্কর জানান গত এক বছরে নারী পাচার চক্রের সাথে যুক্ত থাকার ঘটনায় তারা মোট আট জনকে গ্রেপ্তার করেছেন। পাচার রুখতে তারা সচেতনতা বাড়াতে স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য জায়গায় প্রচার চালাচ্ছেন। কাকদ্বীপ আদালতের সরকারি আইনজীবী সব্যসাচী দাস জানান, ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো, কিডন্যাপ ও বিক্রি করার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে।