21 July TMC Shahid Diwas: রবিবার একুশে জুলাই। তৃণমূলের শহিদ দিবস। ধর্মতলার সমাবেশে যোগ দিতে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে কর্মী-সমর্থকরা আসবেন। রাজ্যের দূরের জেলাগুলি থেকে ইতিমধ্যেই কর্মীরা আসতে শুরু করেছেন। বিভিন্ন স্থান থেকে কর্মীরা গাড়ি নিয়েও আসেন। বিশেষত কাছের জেলাগুলি থেকে বহু জোড়াফুল সমর্থক গাড়ি, বাস, ভ্যান, লঞ্চ এমনকি ম্যাটাডোর ভাড়া করে সমাবেশে যোগ দিতে আসেন। আর তার জেরে একুশের সমাবেশে কলকাতায় রাস্তাঘাটে গাড়ির চাপ বাড়ে। গতবার থেকে যানজট মোকাবিলায় আগে তুলনায় বেশি তত্পর কলকাতা পুলিশ।
তৃণমূল কংগ্রেসের শহীদ দিবসের সমাবেশের জন্য যা যা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে:
- নয়টি জায়গায় জায়ান্ট স্ক্রিন: সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা যাতে সহজেই বক্তাদের দেখতে ও শুনতে পান, সেজন্য নয়টি জায়গায় জায়ান্ট স্ক্রিন স্থাপন করা হবে।
- তিন জায়গায় কলকাতা পুলিশের কুইক রেসপন্স টিম: কোনও অপ্রত্যাশিত ঘটনা মোকাবিলা করার জন্য তিনটি জায়গায় কলকাতা পুলিশের কুইক রেসপন্স টিম মোতায়েন থাকবে।
- ১৫ টি জোনে বিভক্ত সমাবেশ চত্বর: সমাবেশ চত্বরকে ১৫ টি জোনে ভাগ করে প্রতিটি জোনে একজন করে উপ-নগরপাল নিযুক্ত করা হয়েছে।
- পাঁচটি জোনে ভাগ করে নজরদারি: সমাবেশস্থলকে আরও পাঁচটি জোনে ভাগ করে নজরদারি করা হবে। প্রতিটি জোনের দায়িত্বে একজন করে উপ-নগরপাল থাকবেন।
- প্রায় পাঁচ হাজার পুলিশকর্মী: সমাবেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য প্রায় পাঁচ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হবে।
- মঞ্চের আশপাশে বহুতল থেকে নজরদারি: মঞ্চের আশপাশে অবস্থিত বহুতল ভবন থেকেও নজরদারি চালানো হবে।
- জেলার সমর্থকদের জন্য পৃথক পার্কিং লট: প্রতিটি জেলার সমর্থকদের গাড়ি রাখার জন্য আলাদা আলাদা পার্কিং লটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এত গাড়ি আসছে। কিন্তু এত গাড়ি রাখা হবে কোথায়? সমাবেশ প্রাঙ্গন থেকে বেশ কিছুটা দূরেই গাড়ি রেখে দিয়ে হেঁটে পৌঁছাতে হয় কর্মীদের। এর পাশাপাশি ভিআইপি-দের ভিড় তো রয়েছেই। তাঁদের প্রত্যেকের গাড়ি, কনভয় প্রবেশ, পার্কিংয়ের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করছে পুলিশ।
তাছাড়া এই ভিড়ের মাঝে অনেক কর্মী ফেরার সময়ে গাড়ি খুঁজে পান না। জেলাভিত্তিক পার্কিং থাকলে কর্মীরা সরাসরি পার্কিংয়ের স্থানে পৌঁছে যেতে পারবেন। তাঁদের রাস্তা চেনাতেও সাহায্য করতে পারবেন পুলিশকর্মীরা।