সব ঠিক থাকলে বৃহস্পতিবারই বিজেপিতে যোগ দেবেন কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এদিন বিকেলে পদ্মশিবিরে যোগ দিতে পারেন অভিজিৎ। গত মঙ্গলবার বিচারপতি হিসাবে ইস্তফা দেন তিনি। সেদিনই সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপিতে যোগদানের কথা ঘোষণা করেন অভিজিৎ।
ভোটে লড়বেন কিনা, এ নিয়েও আলোচনা চলছে। জল্পনা ছড়িয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থেকে ভোটে দাঁড়াতে পারেন অভিজিৎ। যদিও এই প্রসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বলেছেন, 'কোন আসনে লড়ব,তা বিজেপির উপর মহল সিদ্ধান্ত নেবে।ভোটে লড়ব কিনা দল ঠিক করবে।'
কেন বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন, এই নিয়েও মুখ খুলেছেন অভিজিৎ। তাঁর সাফ কথা, 'বিজেপি সর্বভারতীয় দল। তৃণমূলের মতো দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ছে। এখানে আর কোনও সর্বভারতীয় দল নেই।' গত ৭ দিনে বিজেপির সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিজিৎ।
সিপিএম এবং কংগ্রেসে কেন যোগ দেবেন না, সেই কারণও ব্যাখ্যা দিয়েছেন অভিজিৎ। বলেছেন, 'সিপিএমে যোগ দেব না, কারণ আমি ঈশ্বর বিশ্বাসী। ধর্মে বিশ্বাস করি। তাঁদের সঙ্গে আমার মিল হবে না। কংগ্রেস হল পারিবারিক জমিদারির একটা দল। এখানে জয়রাম রমেশের মতো শিক্ষিত মানুষেরা থাকেন। কিন্তু তাঁরা পদ পান না। রাহুল গান্ধীর মতো নেতাদের পিছনে থেকে যেতে হয়।'
মঙ্গলবার সকালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পদে ইস্তফা দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিভিন্ন মহলে জল্পনা ছড়িয়েছিল যে, বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। বিচারপতি হিসাবে পদত্যাগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নিজেই সেই জল্পনার অবসান ঘটালেন অভিজিৎ। মঙ্গলবার সকাল ১০টার কিছু সময় পর কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছন অভিজিৎ। তার পরেই রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগপত্র পাঠান বলে সূত্রের খবর। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকেও পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন অভিজিৎ।
অভিজিতের বিজেপিতে যোগদান ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বিজেপিতে যোগদানের কথা ঘোষণা করার পর পরই তৃণমূলকে নিশানা করেছেন অভিজিৎ। বলেছেন, 'তৃণমূল ভিতর ভিতর ভেঙে পড়ছে। এই দল বেশি দিন আর নেই। তৃণমূল একটা যাত্রাপার্টি।' সেইসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নাম না করে 'তাল পাতার সেপাই' বলে আক্রমণ করেছেন। অন্য দিকে, অভিজিৎকে পাল্টা নিশানা করেছেন অভিষেক।