তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ২০০ টাকা কমানোর জন্য কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেছেন। তাঁর দাবি, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জিতলে একটি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৩ হাজার টাকা হবে। কিন্তু ইন্ডিয়া জোট জিতলে রান্নার গ্যাস মিলবে মাত্র ৫০০ টাকায়। অভিষেক বলেছেন, ‘‘২০২৪ সালে বিজেপি জিতলে গ্যাসের দাম ৩ হাজার টাকা হবে। ইন্ডিয়া জিতলে ৫০০ টাকায় গ্যাস পাওয়া যাবে।’’ তবে ডায়মন্ড হারবারের দু’বারের তৃণমূল সাংসদের এমন ঘোষণাকে ব্যক্তিগত মত হিসাবেই দেখছে কংগ্রেস।
অভিষেকের এই ঘোষণার পরেই রাজনৈতিক মহলের একাংশে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তা হলে কি জোটের তরফে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে প্রথম প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করে দিলেন তৃণমূলের তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক? কেউ কেউ বলছেন, জোটের ১৩ জনের কো-অর্ডিনেশন (সমন্বয়) কমিটিতে রয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, সেই ক্ষমতাবলে তিনি এমন ঘোষণা করতেই পারেন।
অভিষেক বিজেপি নেতাদের ভোটের জন্য ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। বলেছেন যে, ভোটারদের ওই টাকা নিয়ে নেওয়া উচিত, কারণ ওই টাকা তাঁদেরই। বিজেপি চুরি করেছে।
অভিষেক তাঁর ৪০ মিনিটেরও বেশি বক্তৃতায় লোকজনকে জানতে চান, প্রধানমন্ত্রী তাদের ১৫ লাখ টাকা দিয়েছেন কী না।
অভিষেক 'জয় বাংলা'কে বাংলাদেশিদের স্লোগান নিয়েপ্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করেন। বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু কলকাতায় এসে জয় বাংলা বলেছেন, পাশে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।"
উল্লেখ্য, মুম্বইতে জোটের বৈঠক শেষে যে সাংবাদিক বৈঠক হয়েছে তাতে তিন দফা যৌথ প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। প্রথমত, সমন্বয়ের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব রাজ্যে রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে ‘যথাসম্ভব একের বিরুদ্ধে এক’ প্রার্থী চূড়ান্ত করার জন্য সমঝোতা প্রক্রিয়া শুরু করা। দ্বিতীয়ত, ১৪ সদস্যের সমন্বয় কমিটির মাধ্যমে যৌথ প্রচার, কৌশল নির্ধারণের মতো বিষয়গুলি চূড়ান্ত করা। তৃতীয়ত, ‘জুড়েগা ভারত, জিতেগা ইন্ডিয়া’ স্লোগান সামনে রেখে দ্রুত রাজ্যে রাজ্যে ঐক্যবদ্ধ ভাবে জন সমাবেশ এবং প্রচার কর্মসূচি শুরু করা।