রাজনীতিতেও অবসরের একটা বসয়সীমা থাকা উচিত। কারণ একটা সময় মানুষের কর্মক্ষমতা কমে, আগের মতো সক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারেন না। এমনটাই মনে করেন তৃণমূল সাংসদ ও সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিন রাজ্যের ভোটে কার্যত পর্যুদস্ত হয়েছে কংগ্রেস। তৃণমূলের তরফেও জানানো হয়েছে, এটা যত না বিজেপির সাফল্য, তার চেয়ে বেশি কংগ্রেসের ব্যর্থতা। দ্বিতীয়ত, ভিন রাজ্যে জিততেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পগুলি নকল করেছে অন্য দল। কিছুটা একই সুর শোনা গেল অভিষেকের গলাতেও।
সোমবার উত্তরবঙ্গ যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে কংগ্রেসের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে অভিষেক বলেন, 'দলে অনেক বর্ষীয়ান নেতা দরকার। কিন্তু কংগ্রেসের সমস্যা হল যোগ্যদের সাইডে রেখে নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা। সেজন্যই হেরেছে। এগুলো দরকার ছিল না। এগুলো আগে শুধরে নিলে এটা হত না। যদি কেউ ভাবে দীর্ঘদিন ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখব, তাহলে তাঁর পতন অনিবার্য।'
পাশাপাশি তাঁর দাবি, 'প্রবীণদের অভিজ্ঞতা প্রতিটা দলেরই প্রয়োজন। কিন্তু একটা বয়সের পর প্রোডাক্টিভিটি কমে। তাই ক্রিকেট বা রাজনীতি, সবক্ষেত্রেই একটা ঊর্ধ্বসীমা থাকা দরকার।'
উল্লেখ্য, এর আগে তৃণমূলের ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, তাপস রায়, মদন মিত্র-সহ একাধিক নেতা-মন্ত্রী বয়সের কারণে অব্যাহতি নেওয়ার কতা বলেছেন। গতবছর কামারহাটির বিধায়ক মদন বলেছিলেন,‘২০২৬-এর পর আর ভোটে দাঁড়াব কিনা ভাবতে হবে। আমার খেলা দেখে নতুন প্রজন্ম শিখবে। আমি নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছি। বয়সের ভার হয়ে যাচ্ছে’।
অন্যদিকে, আগেই রাজনীতিতেও বয়সসীমা বেঁধে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান বিধায়ক তাপস রায়। ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সরে যাওয়ার। গত বিধানসভা নির্বাচনের পরও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক সাক্ষাৎকারে বলেন, রাজনীতির ক্ষেত্রে একটা সময়সীমা থাকা দরকার বলে আমি মনে করি। ষাট-পঁয়ষট্টি কিংবা সত্তর-পঁচাত্তর হোক, এর উপরে রাজনীতি করা উচিত নয়। মানুষ ষাট বছরে অবসর নেয়। সরকারি বা বেসরকারি ক্ষেত্রে মানুষ এর বেশি কাজ করে না। রাজনীতিও সেরকমভাবেই করা দরকার।