কুণালের পর নারায়ণ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে 'তৃণমূল কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ' বললেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। তিনি বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সংগ্রামের অপর নাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁকে ১০০ ভাগ নেত্রী হিসাবে মেনে চলেন, এটা নিয়ে কোথাও কোনও দ্বিমত-সন্দেহ নেই। কিন্তু আফটার মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এই তৃণমূল কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।'
এর আগে কুণাল ঘোষ একাধিকবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি ভবিষ্যৎের 'মুখ্যমন্ত্রী' বলে উল্লেখ করেছেন। যদিও তেমনটা সরাসরি বললেন না নারায়ণ। তিনি বললেন, 'মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় নেত্রী এটা নিয়েও যেমন কোনও দ্বন্দ নেই, অভিষেক আগামী ভবিষ্যৎের তৃণমূলের নেতা, মুখ্যমন্ত্রী হবেন কি হবেন না... সেটা পরবর্তী প্রশ্ন। পরিস্থিতি বলবে সেটা। কিন্তু ভবিষ্যৎের তৃণমূলের নেতার নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।'
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কুণাল ঘোষও এই একই সুরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিনের আগে আগাম শুভেচ্ছা জানান কুণাল। তিনি লেখেন, 'মমতাদির পর একদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন অভিষেক। মমতাদি ঘরানার সময়োপযোগী ধারক ও বাহক অভিষেক। যতদিন আমি তৃণমূলে থাকব, ততদিনই অভিষেক আমার নেতা।'
গত বৃহস্পতিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন ছিল। তার আগে কুণালের এই পোস্ট নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। আর এমনই আবহে দলের আরও এক হেভিওয়েট নেতা, নারায়ণ গোস্বামীর বক্তব্য, সেই জল্পনা আরও উস্কে দিয়েছে।
তবে এর আগেও এক্স হ্যান্ডেল পোস্ট বা সাংবাদিক সম্মেলনে একাধিকবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন কুণাল। বলেছেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের যে ঘরানা, তার ধারক ও বাহক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর জন্মদিনের প্রাক্কালে আমি এই কারণেই শুভেচ্ছা জানিয়েছি যে, কালের নিয়মে একদিন নিশ্চিতভাবেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হবেন।'
এর আগেও দলের একাধিক নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'আগামীর মুখ্যমন্ত্রী' বা 'উত্তরসূরী' হিসাবে উল্লেখ করতে দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনাবাজ মণ্ডল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগামীর মুখ্যমন্ত্রী বলে সম্বোধন করেন।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও অভিষেককে নিজের 'রাজনৈতিক উত্তরসূরী' হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।