নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনায় আজ জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। একুশের ভোটে কংগ্রেস ও বামেদের ভরাডুবির জন্য বিজেপি-কে দায়ী করলেন তিনি। পাশাপাশি বামেদের সঙ্গে এখনও তাঁদের জোট আছে বলেও জানান অধীর চৌধুরী। ভোটে খারাপ ফলাফল নিয়ে তাঁর পর্যবেক্ষণ, মোদী-অমিত শাহরা রাজ্যে এসে এনআরসি চালু করবে বলে প্রচার চালিয়েছিল। আর তার সুফল ঘরে তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আজ বিধানভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, 'ভোটের আগে রাজ্যে এসে মোদী-শাহরা এনআরসি চালু করবেন বলে সরব হলেন। ফলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন ভয় নিজেদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে একতরফা তৃণমূলকে ভোট দিল। আমার নিজের মনে হয়েছে, সেই কারণে কংগ্রেস বা আমাদের জোট ভোট পায়নি। সংখ্যালঘুরা ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে জেতানোর জন্য ভোট দিয়েছে। অর্থাৎ তারা বিজেপি-কে হারানোর ভোট দিয়েছে। মোদী-শাহরা রাজ্যে এসে এনআরসি-র কথা না বললে কংগ্রেসও ভোট পেত। মোদী-শাহদের প্রচারের সুফল ঘরে তুলে নিয়ে গেল তৃণমূল।'
আরও পড়ুন : VIDEO: চন্দননগরে করোনার টিকা নিলেন ১০৫ বছরের বৃদ্ধ, দেখুন
একুশের নির্বাচনে ভরাডুবির পর কংগ্রেস ও বামেদের জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। জোট ভেঙে যেতে পারে- এই জল্পনা শুরু হয় সিপিআইএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের একটি পোস্ট ঘিরে। সেই পোস্টের সমালোচনা করেন কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যও। তবে জোট নিয়ে এখনই কোন মন্তব্য করতে নারাজ অধীর চৌধুরী।
আজকের সাংবাদিক বৈঠক থেকে ওই কংগ্রেস নেতা বলেন, 'সিপিএম-এর নেতৃত্বের সঙ্গে আমরা আলোচনা করে জোট করেছিলাম। জোট নেই, একথা তো তাদের নেতৃত্বের তরফে আমাদের এখনও বলা হয়নি। বা আমাদের তরফেও ওদের বলা হয়নি। তাই যেই জায়গাতে আমরা ছিলাম, সেই খানেই আছি। জোট নিয়ে রিভিউ করব কিনা সেটা পরের প্রশ্ন।' প্রসঙ্গত, সামনেই পুরভোট। সেখানে বামেদের সঙ্গে জোট রেখে কংগ্রেস এগোবে কিনা তা পরিষ্কার করেননি অধীরবাবু।
আরও পড়ুন : কালিয়াচকে পরিবারের ৪ জনকে মেরে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ
আজকের সাংবাদিক বৈঠক থেকে ফের আইএসএফ-এর সমালোচনা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বলেন, 'কংগ্রেস আইএসএফ-সাথে কোনও জোট করেনি। কংগ্রেস এটা আগেও বলেছে। এখনও বলছে। আমডরা সিপিএমের সঙ্গে জোট করেছিলাম। আইএসএফ তো মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই প্রার্থী দিয়েছিল। জোট করলে তারা কি প্রার্থী দিত?'