ভালবেসে আদিবাসী মেয়েকে বিয়ে করায় জামাইকে উত্তমমধ্যম দেওয়ার অভিযোগ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। হুগলির আরামবাগের বৃন্দাবনপুরের ঘটনা। পালটা আবার জামাইয়ের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মাস পাঁচেক আগে ভালবেসে বৃন্দাবনপুর এলাকার আদিবাসী সমাজের এক যুবতীকে বিয়ে করে বাদলকানা এলাকার এক যুবক। যুবতীর বাপের বাড়ির কাছেই একটি আইটিআই কলেজে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করে সে। বিয়ের পর থেকে ওই যুবতীর রেশন কার্ড ভোটার কার্ড সমস্ত নথিপত্র চাইলেও তা যুবককে দেওয়া হয়নি। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে চাওয়ার পরেও না পেয়ে যুবতীর দুই দাদাকে হুমকি দিতে শুরু করে ওই যুবক। এমনকী নিজের রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রয়োগের হুমকিও দেয় সে।
এরপরেই এদিন ওই যুবককে নাগালের মধ্যে পেয়ে তাকে ঘেরাও করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। দেওয়া হয় মারধর। এমনকী কান ধরে ক্ষমাও চাওয়ানো হয় তাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। এরপর পুলিশের হস্তক্ষেপে আদিবাসীদর হাত থেকে উদ্ধার পান ওই যুবক।
এই প্রসঙ্গে এক আদিবাসী নেতা জানান, তাঁদের সমাজে ভিন্ন জাতি-সম্প্রদায়ে বিয়ে মেনে নেওয়া হয় না। তাই ওই যুবতী ভিন্ন সম্প্রদায়ে বিয়ে করার পরেই তার সমস্ত নথিপত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ওই যুবতীর কোনও নথিপত্র আর তাদের কাছে নেই। একইসঙ্গে যুবতীর সঙ্গে তার বাপের বাড়ির লোকজন আর সম্পর্ক রাখতে চান না বলেও জানান ওই নেতা। তবে আধুনিক যুগে এই ঘটনায় নতুন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্নমহলে।