তৃণমূলের হুঁশিয়ারির পরেই পদত্যাগের ঘোষণা করলেন অখিল গিরি। একটি ভাইরাল ভিডিওতে তাঁকে রেঞ্জ অফিসার মনীষা সাউকে হুমকি-শাসানি দিতে দেখা গিয়েছিল। সূত্রের খবর, এরপরেই তৃণমূলের তরফে তাঁর কাজের নিন্দা করা হয়। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় যে, তাঁর পাশে দল কোনওভাবেই দাঁড়াবে না। বরং সরকারি অফিসারের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের জন্য় তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত। এরপরে অবশ্য কারামন্ত্রী অখিল গিরি তাঁর আচরণ আরও সংযত হওয়া উচিত ছিল বলে জানান। যদিও স্থানীয়দের পাশে দাঁড়াতেই তিনি এমনটা করেছেন বলে উল্লেখ করেন।
একাধিক সংবাদ সূত্রের খবর, ভিডিওটি ভাইরাল হতেই অখিল গিরির কাছে পদত্যাগপত্র চেয়ে পাঠায় তৃণমূল। এরপরেই সংবাদমাধ্যমকে অখিল গিরি জানান, রবিবারই মেল-এর মাধ্যমে নিজের পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। আগামিকাল লিখিত পদত্যাগ পত্র দেবেন।
সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, 'মন্ত্রিত্ব ছাড়া নিয়ে আমার কোনও আক্ষেপ নেই। মন্ত্রিত্ব আমার কাছে কোনও বড় কথা নয়। আমার কাছে বড় কথা হল এলাকার মানুষকে নিয়ে লড়াই করা। আগামিদিনেও সেটা করব। বন দফতরের কর্মীরা যেভাবে গ্রামের মানুষের থেকে টাকা নিয়ে দুর্নীতি করছেন তা গ্রামবাসীরাই জানিয়েছেন।'
সূত্রের খবর, এই ঘটনায় প্রশাসনের শীর্ষ স্তর, এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ক্ষুব্ধ। এর আগে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে কুমন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল অখিল গিরির বিরুদ্ধে, সে সময়ও মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছিলেন। এবার মহিলা রেঞ্জ অফিসারের সঙ্গে এহেন আচরণে মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত অসন্তুষ্ট। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মহিলাদের ভোটব্যাঙ্কের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী, এবং তারই মন্ত্রী যদি এমন আচরণ করেন, তা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে।