কোচবিহারের দিনহাটায় (Dinhata) তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেতা উদয়ন গুহের (Udayan Guha) উপরে হামলা। দিনহাটা বয়েজ ক্লাবের সামনে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ডান হাতে আঘাত লাগে তাঁর। বর্তমানে দিনহাটা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। তাঁর নিরাপত্তারক্ষীও আক্রান্ত হয়েছন বলে জানা যাচ্ছে। নিরাপত্তারক্ষীর মাথায় আঘাত লেগেছ৷ তবে ঘটনায় এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্টভাবে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেননি উদয়য়নবাবু।
প্রসঙ্গত ভোটের পর থেকেই উত্তপ্ত রয়েছে কোচবিহারের দিনহাটা। সোমবার সন্ধ্যাতে দিনহাটার পেটলায় এক বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে। আর শুধু খনই নয়, বেশকিছু বিজেপি কর্মীর বড়িতে ভাঙচুর চালান হয়েছে বলেও অভিযোগ। দলীয় কর্মীদের একটা বড় অংশ ঘর ছাড়া বলেও দাবি করেছে বিজেপি। তার আগে ফল ঘোষণার দিনই কোচবিহারে বিজেপি প্রার্থী মিহির গোস্বামীর গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। ভাঙচুর হয় ঘুঘুমারিতে বিজেপির একটি পার্টি অফিসেও। নির্বাচন পরবর্তী হিংসা বন্ধ করার দাবিতে বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল ইতিমধ্যে জেলাশাসকের সঙ্গে দেথা করেছে বলেও জানা যাচ্ছে।
শুধুমাত্র কোচবিহারই হয়, নির্বাচন ও ফলাফল পরবর্তী হিংসায় ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজনের। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ফলাফল পরবর্তী হিংসায় যে সমস্ত দলীয় কর্মীরা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারে পাশে দাঁড়াতে রাজ্যে আসেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাও। ধরনারও আয়োজন করা হয়।
অন্যদিকে ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে বাংলায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার কথা রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। পুলিশ প্রশাসনকে এই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করার কথাও বলেছেন তিনি। অন্যদিকে তৃতীয়বারের জন্য শপথ নেওযার পরেই রাজ্যে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে পুলিশকে কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।