প্রশান্ত কিশোর এবং তাঁর কর্মসূচী নিয়ে ফের তৃণমূলে সমস্যা। ফের পিকের বিরুদ্ধে সরব হলেন বালির তৃণমূল বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া। তৃণমূলের ‘বঙ্গজননী’ কর্মসূচি নিয়েই এই সমস্যার সূত্রপাত হয়। বুধবার সকালে বালি বিধানসভা কেন্দ্রের ১৬ জন প্রাক্তন কাউন্সিলার নিয়ে একটি ভবনে দলীয় বৈঠক করেন টিম পিকে । সেই বৈঠকে ডাকা হয়নি বালির বিধায়িকা বৈশালী ডালমিয়াকে ।
বুধবার বালির ১৬ জন বিদায়ী কাউন্সিলরকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিল পিকে-র টিম। ছিলেন ব্লক সভাপতিরা। যদিও সেখানে ছিলেন না বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া। শেষ মুহূর্তে বৈঠকে যান হাওড়ার ৬৩ নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার তথা প্রাক্তন মহিলা তৃণমূল সভাপতি বিজয়লক্ষ্মী রাও। কেন বিধায়ককে বাদ দিয়ে বৈঠক করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজয়লক্ষ্মী।
এমনকি ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন পৌর মাতা শোভা দেবী তাকে মারধর করেছে বলে অভিযোগও তোলেন বালির বিধায়িকা। এ দিন বিকেলে একটি বিস্ফোরক ফেসবুক পোস্ট করেন বালি বিধায়িকা। উল্লেখ্য, বিজয়লক্ষ্মী রাও বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া ঘনিষ্ট। এমনকী দল ছাড়াও ইঙ্গিতও দিয়েছেন বিজয়লক্ষ্মী।
এমনকী দলের প্রাক্তন পুরো প্রতিনিধিদের হুলিগ্যান বলেও কটাক্ষ করেন বৈশাখী ডালমিয়া। প্রাক্তন প্রতিনিধিদের তিনি অপদার্থ ও দুর্নীতিগ্রস্ত বলেও দাবি করেন । পাশাপাশি তিনি আরো বলেন এই সমস্ত লোকেরা যদি দল চালায় তাহলে তিনি দল থেকে সরে যাবার ইঙ্গিতও দিয়েছেন।
ফেসবুক পোস্টে বৈশালী বলেছেন, ‘গোটা ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এর পিছনে দলেরই কয়েকজন প্রাক্তন কাউন্সিলর জড়িত। যাঁরা কাজ করেছেন তাঁরাই অপমানিত হচ্ছেন। এটা কি সবসময়ই চলবে? এরকমভাবে কী করে দল চলবে?’ এমনকী, এই ঘটনায় শাসক দলকে কটাক্ষ করলেন হাওড়া জেলা (সদর) বিজেপি সভাপতি সুরজিৎ সাহা । তিনি বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে । শাসক দলকে ব্যঙ্গ করে তিনি বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের পিকে নামের কোন পদ আছে বলে তার জানা নেই।