তৃণমূলে মূল সমস্যা কোথায়? এই উত্তরই যেন খুঁযে চলেছেন রাজনীতিকরা। যত সময় এগোচ্ছে নির্বাচনের দিকে, ততই দলের প্রতি ক্ষোভ বৃদ্ধি করে পদত্যাগের হিড়িকও বাড়ছে। লক্ষ্মীরতন শুক্লর সরকার ও দল ছেড়ে যাওয়ার পর বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়ার বেসুরো সুর কিন্তু অন্য কথা জানান দিচ্ছে। লক্ষ্মীরতনের পাশে দাঁড়িয়ে জানালেন, 'দল ছাড়লেই তো বেইমান বলা হবে'। ক্ষোভ উগরে দিলেন কার বিরুদ্ধে?
নাম অবশ্য নেননি তিনি। তবে দলের প্রতি যে এমন ক্ষোভ ছিল তা আগে কখনও প্রকাশ্যে আনেননি। বৈশালীর সাফ কথা, "দলের একটা অংশ শুধু লক্ষ্মীকে নয়, অনেক বিধায়ককেই কোনও কাজ করতে দিচ্ছে না। পুরনো কর্মীদের কাজ করতে দেয় না।" শুধু তাই নয়, দলত্যাগীদের‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে চিহ্নিত করা নিয়ে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, "দল ছাড়লেই তো বেইমান বলা হবে! কিন্তু যারা উইপোকার মতো দলকে কুরে কুরে শেষ করে দিচ্ছে সেই বেইমানদেরই তো তাড়িয়ে দেওয়া উচিত।" এই ইঙ্গিত ঠিক কার দিকে ছিল, সেখানে অবশ্য ধোঁয়াশাই ছিল।
সম্প্রতি দল ও কাজকর্ম নিয়ে যেমন অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়া একাধিক তৃণমূক ত্যাগী নেতা-নেত্রীরা, তেমনই বনমন্ত্রী রাজীব, লক্ষ্মীরতন শুক্ল, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বৈশালী ডালমিয়াও সরব হলেন।
প্রসঙ্গত এর আগেও ঘাস-ফুল শিবিরে প্রশান্ত কিশোরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। তৃণমূলের ‘বঙ্গজননী’ কর্মসূচি ঘিরে বিরোধের সূত্রপাত হয়। পিকের টিম বৈঠকে বসলেও ছিলেন না বৈশালী৷ বিধায়ককে বাদ দিয়েই বৈঠক করায় ওঠে একাধিক প্রশ্ন। টিম-পিকে আদৌ দলের ভাল করতে চান কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বৈশালী। সামনেই অমিত শাহের বঙ্গ সফর। তার আগেই দলে ফের বিদ্রোহে অস্বস্তি বাড়ছে মমতা শিবিরে৷