কলকাতা, ৫ অক্টোবর : ব্যারাকপুরে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা হত্যার ঘটনায় সোমবার রাজভবনে রাজ্যের অতিরক্ত মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে তলব করলেন রাজ্যপাল জগদ্বীপ ধনখর। রবিবারের এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার পাশাপাশি রাজ্যের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে টুইটও করেন রাজ্যপাল। এদিকে, মণীশ শুক্লা হত্যার প্রতিবাদে সোমবার ব্যারাকপুরে ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে বিজেপি।
রবিবার রাতে ব্যারাকপুর সংলগ্ন টিটাগরের জনবহুল এলাকায় বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লাকে বিটি রোডের উপর গুলি করে খুন করে একদল দুষ্কৃতি। তিনি ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ নেতা বলেই পরিচিত। ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। যদিও, স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই। ব্যারাকপুরে বরং হিংসার রাজনীতি নিয়ে এসেছেন অর্জুন সিং ও তাঁর অনুগামীরাই।
জানা গেছে, রবিবার হাওড়ায় একটি দলীয় সভায় যোগ দিয়ে সন্ধ্যার টিটাগড়ে ফেরেন মণীশ। সেখাইন স্থানীয় পার্টি অফিসের সামনে এক সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। ঠিক সেই সময়ে মোটর সাইকেলে চেপে কয়েকজনক দুষ্কৃতি তাঁকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে চম্পট দেয়। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে সঙ্গীও গুলিবিদ্ধ হন। এরপর তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয় মণীশ শুক্লাকে। তবে শেষরক্ষা আর হয়নি। রাস্তাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। মণীশের মাথায় ও বুকে গুলি লাগে। বাইক চালক এবং সওয়ারিদের মুখ হেলমেটে ঢাকা ছিল বলে তাদের চেনা যায়নি। খুব কাছ থেকে দুষ্কৃতীরা গুলি করে মণীশকে লক্ষ্য করে।
এদিকে, টিটাগড় থানার খুব কাছেই এই ঘটনা ঘটে যাওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনাযর পরই ক্ষোভে ফেঁটে পরেন বিজেপি নেতৃত্ব। কৈলাশ বিজয়বর্গীয় দাবি করেছেন, "এই ঘটনা তৃণমূল কংগ্রেসের গুণ্ডারাই ঘটিয়েছে।" ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন বিজয়বর্গীয়।
বিজেপির অভিযোগকে যদিও গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেসের নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। তিনি বলেন, "ব্যারকপুরে হিংসার রাজনীতির আমদানি করেছেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। এক্ষেত্রে তৃণমূলের কোনও ভূমিকা নেই। এটা বিজেপির অন্দরেই গোষ্ঠীকোন্দলের ফল।"