মালদা, মুর্শিদাবাদ-সহ ৫ জেলাকে নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়ার দাবি জানিয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। এই আবহে এবার মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষও একই দাবি করেলন। শুধু তাই নয়, ২ বছর আগেই এই দাবি জানিয়ে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলার রাজ্যপালকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন বলে শুক্রবার দাবি করলেন বিধায়ক।
শুক্রবার বিধানসভা চত্বরে এই প্রসঙ্গে গৌরীশঙ্কর জানান যে, নিশিকান্ত যে দাবি জানিয়েছেন, সেই একই দাবিতে ২০২২ সালের ২ অগস্ট রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং রাজ্যপালকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তিনি। চিঠিতে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের বিষয় নিয়ে উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছিলেন বলেও জানান গৌরীশঙ্কর। মালদা, মুর্শিদাবাদ দিয়ে বাংলাদেশের বহু বাসিন্দা বেআইনি ভাবে ভারতে প্রবেশ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি বিধায়ক। দলের সাংসদ এই দাবি তোলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন গৌরীশঙ্কর। এর পাল্টা তৃণমূলের কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'বাংলা ভাগের চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি।'
উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্বে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব নিয়ে যখন তোলপাড় রাজনীতির ময়দান, এই আবহে বাংলার মালদা এবং মুর্শিদাবাদ-সহ দেশের ৫ জেলাকে নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। বৃহস্পতিবার সংসদে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডার সাংসদ বলেছেন, 'কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল না করা হলে হিন্দুরা শেষ হয়ে যাবে।' এনআরসি কার্যকর করার দাবিও জানিয়েছেন নিশিকান্ত। মুসলিমদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। সংসদে নিশিকান্ত বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ এবং বাংলা থেকে মালদা ও মুর্শিদাবাদের লোকজন এসে আমাদের এলাকার মানুষকে তাড়িয়ে দিচ্ছেন। গ্রামের পর গ্রাম ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। এটি একটি খুব গুরুতর বিষয় এবং আমি এটি রেকর্ডে বলছি। আমি যা বলেছি তা ভুল হলে আমি পদত্যাগ করতে প্রস্তুত।' তাঁর আরও অভিযোগ, মুর্শিদাবাদ, মালদা থেকে লোকজন এসে হিন্দুদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজ করছেন।। ঝাড়খণ্ড পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করছে না। নিশিকান্ত এ-ও বলেছেন, 'মুসলিমদের জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে এবং ভারত সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিত।' এরপরেই তিনি বলেন, ' মালদা, মুর্শিদাবাদ, কিষাণগঞ্জ, আরারিয়া, কাটিহার এবং পুরো সাঁওতাল পরগনাকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা উচিত। না হলে, হিন্দুরা মুছে যাবে। এনআরসি কার্যকর করুন।' আরও বলেছেন, 'এর আগে যদি কিছু না ঘটে তবে প্রথমে হাউসের একটি কমিটি পাঠান এবং এই কমিটিতে যতটা সম্ভব তৃণমূলের সাংসদের অন্তর্ভুক্ত করা হোক।'