লোকসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম বার দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। বৃহস্পতিবার দিল্লি যাচ্ছেন মমতা। নীতি আয়োগের বৈঠকের আগে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, বৈঠকের আগেই লিখিত বক্তব্য চাওয়া হয়েছে। মমতা বলেছেন যে, যা যা পাওনা তার তালিকা দিয়েছি।
মঙ্গলবার কেন্দ্রের বাজেটের সমালোচনা করেছেন মমতা। এই বাজেটকে গরিব বিরোধী বাজেট বলে অভিহিত করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এই বাজেট পেশ করা হয়েছে। তাঁর কথায়, 'দিশাহীন, গরিব বিরোধী বাজেট, কোনও আলোর দিশা নেই। চাকরির সংস্থান নেই।'
অন্য দিকে, দুর্গাপুজোয় ক্লাবগুলির জন্য সরকারি অনুদানের পরিমাণ আরও বাড়ানো হল। এ বছর দুর্গাপুজোয় ক্লাবগুলিকে ৮৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতবছর ৭০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ, গতবারের তুলনায় ১৫ হাজার টাকা বাড়ানো হল অনুদান। আগামী বছরে অনুদানের অঙ্ক ১ লক্ষ টাকা করা হবে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, বিদ্যুতের বিলেও ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
আগামী বছর অনুদানের পরিমাণ বাড়িয়ে ১ লক্ষ টাকা করা হবে বলে এদিন আগাম ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে এদিন মমতা বলেন, 'এবার ১৫ হাজার যদি বাড়তে পারে, তা হলে আগামী বছর ১ করে দেব। দু'বছরের ঘোষণা করে দিলাম আগাম।'
অনুদান প্রসঙ্গে মমতা বলেন, 'আজ বাজেট হয়েছে। আমরা শূন্য পেয়েছি। অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়েও আমরা উৎসবকে ভুলতে পারি না। বিদ্যুতের ছাড় ৬৬ শতাংশ ছিল গতবার। এবার ৭৫ শতাংশ ছাড় দিতে বলেছি।' এরপরেই অনুদানের পরিমাণ প্রসঙ্গ মুখ্যমন্ত্রী তুলতেই অনেকে ১ লক্ষ টাকা করার দাবি তোলেন। যা শুনে মমতা বলেন, 'একসঙ্গে এতটা লাফিয়ে বাড়ানো যায়! আস্তে আস্তে ওঠো। প্রথম শুরু করেছিলাম ২৫ হাজার দিয়ে। আস্তে আস্তে ৭০-এ এসেছে। এবার সব করে দিলে, আসছে বছর কী হবে। এবার ৭০ থেকে বাড়িয়ে ৮৫ হাজার করে দিলাম।' বস্তুত, পুজোর অনুদান নিয়ে প্রায়শই বিতর্ক হয় রাজ্য রাজনীতিতে। এই নিয়ে সরব হয় বিরোধীরা। অতীতে এই নিয়ে মামলাও হয়েছে আদালতে।
মঙ্গলবার দুর্গাপুজো কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজো যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন করা হয়, সেই নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিয়েছেন মমতা।