ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু অভিযোগ, পুলিশি বাধায় সেই সাক্ষাৎ হয়নি বৃহস্পতিবার। এই নিয়ে শুক্রবার মুখ খুললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বলেছেন, 'আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দিয়েছিলাম। কিন্তু আটকানো হল। নিজেদের জীবন রক্ষার জন্য গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করা থেকে যেভাবে তাঁদের বিরত করা হল, তাতে স্তম্ভিত।' এরপরেই রাজ্যপাল বলেছেন, 'রাজ্যের কিছু অংশে 'ডান্স অফ ডেথ' চলছে। ভোটের সময়ও বেশ কিছু হিংসার ঘটনা ঘটেছে। এটা চলতে পারে না।'
ভোট পরবর্তী হিংসায় 'আক্রান্ত'দের নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজভবনে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানানোর কথা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত 'পুলিশি বাধায়' তাঁরা ঢুকতে পারেননি বলে অভিযোগ। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে গেলে শুভেন্দুকে নতুন করে আবেদন করার কথা বলেছে হাইকোর্ট। রাজ্যপাল অনুমতি দিলেই সাক্ষাৎ করা যাবে, এমনই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার পর ফিরে যেতে বাধ্য হন তাঁরা। পুলিশি ব্যারিকেডে বাধা পেয়ে শুভেন্দু জানান,'রাজ্যপালের কাছে আমরা আক্রান্তদের
নিয়ে দেখা করার অনুমতি চেয়েছিলাম। ওঁর অফিস থেকে আমার সচিবকে বলা হয়, আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করবেন রাজ্যপাল। মমতার পুলিশ, মমতার ভৃত্য বিনীত গোয়েলের নেতৃত্বে চারদিকে ব্যারিকেড করে রাস্তা বন্ধ করেছে। আমার মনে হয়, ১৯৭৭ সালে জরুরি অবস্থার সময়ও এ জিনিস হয়নি। বিরোধী দলনেতাকে ১ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়েছে। আমি মমতার মতো ভাঙচুরের রাজনীতি করি না। আমি এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেছি। রাজ্যপালের আপ্তসহায়ককে মেসেজ করেছি। রাজভবনের তরফে বলা হয়েছে, রাজভবনের বাইরের রাস্তা পুলিশের দায়িত্বে। রাজ্যপাল মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওঁর আপ্তসহায়ক'।
লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় অশান্তির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এই নিয়ে পদক্ষেপ করতে রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।