বাংলায় বাবরি মসজিদ বানাতে চাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। শাসকদলের বিধায়ক বলেন, ২০২৫-এর ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে মসজিদ ট্রাস্ট তৈরি করে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই মুর্শিদাবাদে 'বাবরি মসজিদ' বানানোর ইচ্ছেপ্রকাশ তৃণমূলের এই বিধায়ক। হুমায়ুন বলছেন, "পশ্চিমবঙ্গেই হবে নতুন বাবরি মসজিদ। বাংলারএই মসজিদের শিলান্যাস করতে চান বলে জানিয়েছেন। এরপর পুরোপুরি মসজিদ গড়ে তুলতে চার বছর সময় লাগতে পারে।" ২০২৯ সালের মধ্যে বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ূন কবীর। এর জন্য নিয়ম শৃঙ্খলা কমিটি তাঁকে শোকজ করে। তবে এবার ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি।
তবে এবার মুখ খুলেছেন বিতর্কিত বাবরি মসজিদ নিয়ে। মঙ্গলবার বিধানসভায় এসে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন-"বর্তমানে বাংলায় ৩৫ শতাংশ মুসলিমরা বাস করেন। আর মুর্শিদাবাদে প্রায় ৭০ শতাংশ মুসলিমদের বাস। বেলডাঙা যেখানে আমি বাবরি মসজিদ করব বলেছি সেখানে ৮০ শতাংশ মুসলমানের বাস। ১৩টি অঞ্চল নিয়ে যে ব্লক, সেখানে আড়াই লক্ষ মুসলিম মানুষ বাস করেন। সেই জায়গায় অনেক মসজিদ আছে। আজ থেকে ৪০ বছর আগে যদি পিছিয়ে যান একটা মসজিদে একটা ফ্যান পর্যন্ত পাওয়া যেত না। ২০২৫ সালের ৬ ডিসেম্বর ওটার শিলান্যাস হবে।
শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে বলেন, "শুভেন্দু অধিকারী রেজিনগরে আমার ব্যাপারে খুব ভালো জানেন। ২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি উনি আমাকে ওখানে বিরক্ত করেছিলেন। উনি সেই সময় রাজ্যের পরবহন মন্ত্রী ছিলেন। তৃণমূলের অবজারভার ছিলেন। দিদির নম্বর টু ছিলেন। তখন উনি আমাকে। অবজ্ঞা করে জেলা সভাপতি মান্নান হোসেনকে নিয়ে আমার বাড়ির সামনে মিটিং করতে গিয়েছিলেন। ও বুনো ওল হলে আমি বাঘা তেঁতুল, ও আমাকে যখন মাইনাস করে সভা করতে গিয়েছিল,ঠিক তখন আমিও সভাস্থলে থেকে ৫০০ মিটার দূরে সভা করি। ২০১৫ সালে ২৬ ফেব্রুয়ারি তৃণমূল আমাকে বিনা কারণে বহিষ্কার করে দিয়েছিল। সেবার নোটিশও পাইনি। আমার সভায় ১০ হাজার লোক হয়েছিল। আর শুভেন্দুর সভায় এক হাজার লোক হয়েছিল। উনি মঞ্চে যখন মাইক নিয়ে বলতে ওঠেন তাঁর ক্ষমতা হয়নি বক্তৃতা করার। উনি যখন মাইক ধরেন তখন একসঙ্গে ১০০ লোক মঞ্চে উঠে যায়। তাঁরা বলেন, এখানে হুমায়ুন কবীরকে না ডাকলে বক্তৃতা করতে দেব না। ওখান থেকে সোজা কৃষ্ণনগর সার্কিট হাউসে এসে দিদিকে বলেছিলেন হুমায়ুন কবীরকে কোনও মতে ২০১৬ সালে টিকিট দেওয়া যাবে না। এই শুভেন্দু অধিকারী তাড়া খেয়ে চলে এসেছিল। খুব রাগ হয়েছিল।"
তৃণমূল বিধায়কের কথায়, অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা এখনও দেশের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ভাবাবেগে আঘাত দেয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর রাম মন্দির তৈরি হয়ে গেলেও অযোধ্যা বা অন্য কোথাও মসজিদ তৈরি নিয়ে কোনও পদক্ষেপ এখনও নেওয়া হয়নি। তাই তিনি উদ্যোগ নিয়ে বাংলার মাটিতে এই মসজিদ তৈরি করতে চান।