এরাজ্যের মোট উৎপাদিত মুরগির ৩০ শতাংশ যায় পড়শিরাজ্য অসমে। কিন্তু সে রাজ্যের একটি সিদ্ধান্তে কার্যত মাথায় হাত পড়ে গেল প্রোলট্রি ফার্ম মালিকদের। দিন চারেক আগে অসমের প্রাণী সম্পদ মন্ত্রক জানিয়েছে, বার্ড ফ্লুর জন্য বাংলার মুরগি কেনা বন্ধ করা হল। নিজেদের রাজ্যে বার্ড ফ্লু রুখতেই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
অথচ এ রাজ্যে বার্ড ফ্লু-র নাম গন্ধও নেই বলে দাবি করছেন পোলট্রি ফার্ম মালিকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, বার্ড ফ্লু ছড়িয়েছিল ঝাড়খণ্ডের একটি ফার্মে, অথচ অসমের সরকার বাংলার মুরগি ঢোকা বন্ধ করে দিল। এর ফলে ব্যাপক ক্ষতি হবে। এমনিতেই পোলট্রি ফার্ম মালিকরা ক্ষতির সন্মুখীন হচ্ছেন। খরচ তুলতেই হিমসিম খেতে হচ্ছে। তারমধ্যে একটি বড় উৎপাদন বিক্রি আটকে যাওয়ায় কয়েকশো কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
‘ওয়েস্ট বেঙ্গল পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন’-এর সাধারণ সম্পাদক মদনমোহন মাইতি বললেন, ‘‘পোলট্রির মুরগিদের প্রতিপালনের খরচ বেড়েছে। ওদের খাবারের দাম বাড়ায় পোলট্রি চাষিরা বিপর্যস্ত। তার মধ্যে অসম মুরগি নেওয়া বন্ধ করল। এটা বাংলার ব্যবসাকে মার খাওয়ানোর একটা প্রচেষ্টা। অসমে মুরগি পাঠানো বন্ধ থাকলে একমাসে অন্তত এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হবে।’’
অন্যদিকে, কলকাতায় ফের বাড়ছে মুরগির দাম। মঙ্গলবার গড়িয়াহাট বাজারে কাটা মুরগি বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ২৮০ টাকায়। আজ কলকাতায় গোটা মুরগির পাইকারি দর ১৬০ টাকা। গত একমাসে প্রায় ৪০-৪৫ টাকা বেড়েছে মুরগির মাংসের দাম। জোগান কম থাকায় দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। গত ডিসেম্বরেও বাড়ে মুরগির মাংসের দাম। সেই সময় ২২০-২৩০ টাকায় পৌঁছয় মুরগির দাম। গোটা মুরগি পাইকারি বাজারে তখন দাম বেড়ে হয় ১২৮ টাকা।
তিন মাসের মাথায় আবারও বাড়ল দাম। শুধু মুরগির মাংস নয়, ডিমের দামও বেড়েছে সম্প্রতি। বাজারে সবজির দামও আকাশছোঁয়া। গতবছর ডিসেম্বরে মুরগির দাম ছিল ১৯০ টাকা। তারপর বেড়ে হয় ২৬০ টাকা। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, মুরগীর দাম আরও বাড়া উচিত। কারণ উৎপাদনের খরচই উঠছে না। পোলট্রি ফার্ম মালিকদের দাবি, প্রতিবছরই এইসময়ে মুরগির দাম একটু বেড়ে যায়, পরে আবার কমে।
আরও পড়ুন-'ছবির নীচে সততার প্রতীক লেখা মমতার অধিকার, কিন্তু...' উদয়নের দাবি VIRAL