Advertisement

বাগনানে বিজেপির বনধ ঘিরে উত্তেজনা, সৌমিত্র খাঁকে আটকাল পুলিশ

উলুবেরিয়া পার্টি অফিস থেকে বেরিয়ে নিহত দলীয় নেতার বাড়িয়ে যাওয়ার পথেই পুলিশ আটক করে তাদের। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয় যে থানার গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। ফেলে দেওয়া হয় পুলিশের গার্ডরেল।

রথতলায় বিজেপির মিছির শুরুতেই আটকায় পুলিশ
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 29 Oct 2020,
  • अपडेटेड 8:15 PM IST
  • বাগনানে ঢোকার মুখে বাধা দেওয়া হয় বিজেপি যুব মোর্চার নেতা সৌমিত্র খাঁকে
  • থানার গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা
  • টায়ার পুড়িয়ে প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করেন দলীয় সমর্থকরা

দলীয় নেতাকে খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার বাগনানে ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। এদিন বাগনানের রথতলায় বিজেপির মিছির শুরুতেই আটকায় পুলিশ। ঢোকার মুখে বাধা দেওয়া হয় বিজেপি যুব মোর্চার নেতা সৌমিত্র খাঁকে। এই ঘটনাকের নিয়েই রণক্ষেত্র বাগনান। আটক করা হয়েছে বিজেপির ছয় কর্মীকে। তারপরেই সেখানে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান যুব মোর্চার নেতা। 

উলুবেরিয়া পার্টি অফিস থেকে বেরিয়ে নিহত দলীয় নেতার বাড়িয়ে যাওয়ার পথেই পুলিশ আটক করে তাদের। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয় যে থানার গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। ফেলে দেওয়া হয় পুলিশের গার্ডরেল। টায়ার পুড়িয়ে প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করেন দলীয় সমর্থকরা। রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন সৌমিত্র খাঁ। 

সাংবাদমাধ্যমকে সৌমিত্র খাঁ বলেন, ''তালিবানি রাজ চলছে বাংলায়।'' তাদের ছেলেদের কেন গ্রেফতার করা হল, প্রশ্ন করেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেস মিছিল করছে, ''তিনশো লোক নিয়ে জমায়েত করছে। তার আমাদের ছেলেরা রাস্তায় বেরোলেই গ্রেফতার করছে। কিঙ্কর মাঝির বাড়ি আমরা যাব। বাধা পেলে ধর্নায় বসব'', বলে হুমকিও দেন বিজেপি নেতা। 

এমনকী বাগনানে বিজেপির মিছিল আটকে কর্মীদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। পুলিশ তাঁকেও হেনস্থা করেছে বলে তাঁর অভিযোগ। নিজেদের দলের ছেলেদেরও সংযত থাকার বার্তা দিয়েছেন বিজেপি নেতা। 

প্রসঙ্গত, হাওড়ার বাগনানে বিজেপি নেতা কিঙ্কর মাজির গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত গোটা এলাকা। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠতে পারে আশঙ্কা করে আগে থেকেই সেখানে মোতায়েন করা হয়েছিল পুলিশ। নামানো হয়েছিল জলকামান ও RAF। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে নবান্নও। 

Advertisement
Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement