বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা দরকার বলে মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি তথা অধুনা বিজেপি নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শনিবার শিলিগুড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে বাগডোগরায় সংবাদমাধ্যমে অভিজিৎ বলেন, 'চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চলছে। ৩৫৬ করা দরকার।' অতীতে বিজেপির একাধিক নেতা রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানিয়েছেন। সম্প্রতি সন্দেশখালিকাণ্ডের পর ফের রাষ্ট্রপতি শাসন জারির প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়েছে। এই আবহে বিজেপিতে যোগদানের কয়েক দিনের মধ্যেই অভিজিতের গলাতেও শোনা গেল সেই সুর।
তৃণমূলকে ফের নিশানা অভিজিতের
এদিন তৃণমূলকে ফের আক্রমণ করেছেন অভিজিৎ। বলেছেন, 'অবাধ ভোট হলে তৃণমূল মুছেও যেতে পারে।' এরপরই সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বলেন, 'সন্দেশখালিতে মা-বোনেদের উপর অত্যাচার হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী একদিনও যাননি। এলাকার সাংসদও যাননি। গানবাজনা করছেন।' পুলিশের উপরও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপি নেতা। বলেছেন, 'পুলিশ উপর মহলের নির্দেশে সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করছে। সাধারণ মানুষের রোষ তুলে ধরায় সাংবাদিকদের হেনস্থা করা হচ্ছে। এটাকে কি আইনশৃঙ্খলা বলে!'
বিজেপিতে যোগদানের কথা ঘোষণা করার পর পরই তৃণমূলকে নিশানা করেছিলেন অভিজিৎ। বলেছিলেন, 'তৃণমূল ভিতর ভিতর ভেঙে পড়ছে। এই দল বেশি দিন আর নেই। তৃণমূল একটা যাত্রাপার্টি।' সেইসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নাম না করে 'তাল পাতার সেপাই' বলে আক্রমণ করেছেন। অন্য দিকে, অভিজিৎকে পাল্টা নিশানা করেন অভিষেক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদারের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন অভিজিৎ। পদ্মশিবিরে যোগদানের পরই অভিজিৎ বলেন, 'নতুন জগতে পা রাখলাম। দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে বিদায় করাই উদ্দেশ্যে।' অভিজিৎকে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। বৃহস্পতিবার ধর্মতলায় মমতা বলেন, 'বিচারের চেয়ারে বসে বিজেপিবাবু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন! এদের হাতে মানুষ বিচার পাবেন? তবে আমি খুশি, এদের মুখোশটা খুলে পড়ে গেছে। এবার জনগণ ওঁর রায় দেবে।' অন্য দিকে, অভিজিৎ বলেছেন, 'বিচারপতি পদে বসে কখনও রাজনীতি করিনি। কখনও রাজনৈতিক রায় দিইনি। এমন কোনও রায় দিইনি যা পক্ষপাতদুষ্ট ছিল। তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে রায় দিয়েছি।'