বীরভূমের (Birbhum) কাঁকড়তলা এলাকায় বিজেপির এক মণ্ডল সভাপতিকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল। নিহত ওই মণ্ডল সভাপতির নাম মিঠুন বাগদি। বিজেপির অভিযোগ, ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই। যদিও তৃণমূল (TMC) অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের পালটা দাবি, একটি খুনের মামলায় নাম জড়িয়েছিল মিঠুনের। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই তাঁর উপর হামলা হয়েছে।
সূত্রের খবর, শনিবার খয়রাশোল ব্লকের কাঁকড়তলা থানার নবাসন গ্রামে বিজেপির (BJP) মণ্ডল সভাপতি মিঠুন বাগদির উপর হামলা হয়। বাড়ি থেকে একটু দূরেই তাঁর উপর একদল লোক লাঠি এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় বলে অভিযোগ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের। শুধু মারধরই নয়, ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপান হয় বলেও অভিযোগ। তাঁর মাথা এবং শরারেও একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েক মাস আগে রাজু বাগদি নামের ২৭ বছরের এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনায় মিঠুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন রাজুর পরিবারের লোকজন। মিঠুন খুন করেছ বলে অভিযোগ তোলে রাজুর পরিবার। তদন্তে নেমে মিঠুনকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতারও করে পুলিশ। চারমাস জেলে ছিলেন তিনি।
সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পান মিঠুন। কিন্তু গ্রামে ঢোকেননি। ছিলেন শ্বশুরবাড়িতে। শনিবার গ্রামে ফিরলে তাঁর উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। ভিড়ের মধ্যে রাজুর পরিবারের লোকজনও ছিলেন বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের। ঝামেলা দেখে গ্রামের লোকজন পুলিশে খবর দেন। কাঁকড়তলা থানার পুলিশ গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মিঠুনকে উদ্ধার করে নাকড়াকোন্দা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা অভিযোগ, "এই ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। মিঠুন যখন থানা থেকে মোটরসাইকেল নিতে যাচ্ছিল সেই সময় তৃণমূলের লোকজন তার উপর হামলা চালায় এবং কুপিয়ে ও পিটিয়ে খুন করে।" পালটা তৃণমূলের জেলা সহসভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, "এটা একটা পারিবারিক বিবাদ। এখানে তৃণমূল কোনও ভাবেই যুক্ত নয়।"
এদিকে এই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে কাঁকড়তলা থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে চারজন মহিলা এবং একজন পুরুষ। ধৃতরা প্রত্যেকেই রাজু বাগদির পরিবারের সদস্য বলে জানা যাচ্ছে। ধৃতদের রবিবার দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে ১২ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।