উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্বের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দিয়েছেন সুকান্ত। বুধবার এক ভিডিয়ো বার্তায় এই কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।
এই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেছেন, 'আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে উত্তর-পূর্বের কী কী সাদৃশ্য রয়েছে, তা বলেছি। প্রস্তাব দিয়েছি, উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্বের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এই প্রস্তাব দিয়েছি। এবার প্রধানমন্ত্রী বিচার করবেন। যদি যুক্ত হয়, পশ্চিমবঙ্গের অংশ হিসাবে, তাহলে উত্তরবঙ্গের কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা বেশি পরিমাণে পাওয়া যাবে। উন্নয়ন হবে। আশা করি, রাজ্য সরকারের আপত্তি থাকবে না। সহযোগিতা পাব।'
অতীতে উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবি করেছিলেন বিজেপির নেতারা। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লার মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্যের দাবি তুলেছিলেন তিনি। উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্যের দাবি তুলেছিলেন গ্রেটার কোচবিহারের নেতা তথা বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজও। এবার সেই প্রস্তাব খোদ প্রধানমন্ত্রীকে দিলেন সুকান্ত, যা ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। উত্তরবঙ্গকে বঞ্চনা করা হয় বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে প্রায়শই অভিযোগ করে থাকে বিজেপি। এই প্রেক্ষাপটে সুকান্তের এহেন প্রস্তাব রাজনৈতিক দিক থেকে আলাদা তাৎপর্য পেয়েছে।
অন্য দিকে, গতমাসেই অনন্ত মহারাজের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎ ঘিরে সরগরম হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। কোচবিহারে চকচকা এলাকায় অনন্ত মহারাজের বাড়িতে যান মমতা। মুখ্যমন্ত্রীকে পান-সুপুরি, উত্তরীয় পরিয়ে বাসভবনে স্বাগত জানান অনন্ত। প্রায় আধঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাঁদের কথা হয়। অনন্তের বাড়িতে ঢোকার মুখে সাংবাদিকদের তিনি জানান, 'এত বড় বাড়ি আমি দেখি নাই কখনও'। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে অনন্ত বলেছিলেন, 'সৌজন্য সাক্ষাৎ, রাজনীতির কথা হয়নি।' সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের পর পরই অনন্তের বাড়িতে মমতার এহেন সাক্ষাৎ রাজ্য রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছিল। অনন্তের তৃণমূলে যোগদানের জল্পনাও ছড়িয়েছিল। যদিও সেই জল্পনা নস্যাৎ করেছেন অনন্ত।