ফের রাজ্য়ে বিজেপি কর্মী খুনের অভিযোগ। এবার ঘটনাস্থল পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর। গাজীপুর গ্রামের মৃত ওই বিজেপি কর্মীর নাম গোকুলচন্দ্র জানা (৬২)। জানা গিয়েছে, গোকুলবাবু ১৭৭ নং বুথে বিজেপির সম্পাদক ছিলেন। ইতিমধ্য়েই পুলিশ মৃতদেহটি কাঁথি হাসপাতালের ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। খুনের পিছনে তৃণমূলের হাত দেখছে বিজেপি।
সূত্রের খবর, গ্রামের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী টিঙ্কু পালের করোনা পজিটিভ হয়েছে। অভিযোগ, স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই এলাকায় দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। গ্রামের নলকূপ থেকে জল নিয়ে গেছেন। এই অভিযোগ নিয়ে বুধবার সকালে এলাকায় আশাকর্মী মিনতি জানার বাড়িতে যান বিজেপির বুথ সম্পাদক গোকুলচন্দ্র জানা। করোনা আক্রেন্তের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ আনেন তিনি। অভিযোগ, সেখানেই আশাকর্মীর স্বামী শঙ্কর জানা কানে আঘাত করেন বিজেপি কর্মীর। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্য়েই ওই বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়। খবর পেয়েই এলাকায় হাজির হন বিজেপি মণ্ডল সভাপতি-সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব।
এ প্রসঙ্গে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, 'ভগবানপুর ২ ব্লকের সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের ঘুন্ডামি বেড়েছে। তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীরা আমাদের কর্মীকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছে।' পুলিশ কিছু ব্যবস্থা না নিলে বৃহওর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তৃণমূলের সম্পাদক কনিস্ক পণ্ডা বলেন, 'এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। এটি সম্পূর্ণ একটি পারিবারিক ঘটনা। এই মৃত্যুর পিছনে বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে চক্রান্ত করছে। বিজেপি নেতারা শ্মশানে ঘুরুক। মৃতদেহ পেলেই বিজেপি রাজনীতি করছে।'
এ বিষয়ে ভূপতিনগর থানার ওসি রবি গ্রহিকা জানিয়েছেন, মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে৷ ময়নাতদন্তের রির্পোট এলেই সব পরিষ্কার হবে। যদিও এই বিষয়ে আশাকর্মী ও তাঁর স্বামীর কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।